ভিজিডির তালিকায় থাকা সর্ত্বেও অসহায় ৫ নারী ১০মাস ধরে চাল পাচ্ছেন না

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৯ | আপডেট: ৭:১৪:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৪, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা):
দারিদ্র বিমোচনে বর্তমান সরকার যখন নিরলস চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তখনই ভিজিডি তালিকাভুক্ত ৫জন অসহায় মহিলা সরকারের ভিজিডির সুবিধা থেকে দীর্ঘ ১০ মাস ধরে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ যেন কাজীর গুরু কিতাবে আছে গোয়ালে নেই, এমন অবস্থা। এদের মধ্যে একজন দলিত সম্প্রদায়ের বলে জানাগেছে। ঠিক কি কারণে এই ৫জন মহিলা ভিজিডির আওতায় সুবিধা পাচ্ছেন না তার কোন উত্তর যেমন মিলছে না তেমনই ১০ মাস ধরে ৫ পরিবারের ৩০ কেজি চাউলের হদিস নেই। একজন ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত থাকলেও তিনি কিভাবে দ্বায়িত্ব পালন করছেন? এমন প্রশ্ন সচেতন মহলের। এদিকে গত ১১ নভেম্বর এ সংক্রান্ত এক লিখিত অভিযোগ পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে জমা দিয়েছেন ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ভিজিডি সুবিধা বঞ্চিত ৫জন সুবিধাভোগী। তারা হলেন, হরিঢালী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রহিমপুর/দেয়াড়া/উলুডাঙ্গা ফকিরপাড়ার মনোয়ারা বেগম, একই ওয়ার্ডের দে পাড়ার শিউলী রানী দে, দাশ পাড়ার টুম্পা দাশ, বিশ্বাস পাড়ার কাগজী দে ও সরদার পাড়ার যমুনা বেগম।
ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার ১নং হরিঢালী ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ১নং ওয়ার্ড দেয়াড়া/রহিমপুর / উলুডাঙ্গা গ্রামের ভিজিডি কার্ডের আওতায় দারিদ্র বিমোচনে গত ১৩ ডিসেম্বর/১৮ তারিখে তালিকা চুড়ান্ত করে স্বাক্ষর প্রদান করেন, হরিঢালী ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর সিদ্দিকী রাজু, উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও সচিব। সর্বশেষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় চুড়ান্ত এ তালিকায় স্বাক্ষর করেন। সে মতে উক্ত ওয়ার্ডে মোট ২১জন সুবিধাভোগীর তালিকা চুড়ান্ত করা হয়। অথচ দীর্ঘ ১০ মাস যাবৎ ৫ পরিবারের মাঝে কোন ভিজিডি চাল দেওয়া হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোন লাভ হয়নি। অবশেষে গত ১১ নভেম্বর/১৯ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন তারা।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রোকনুজ্জামান বলেন, চুড়ান্ত তালিকায় নাম থাকলেও অনলাইনে বাদ পড়ার কারণে এমনটি হয়েছে। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান উপজেলার রেজুলেশানের মাধ্যমে সংশোধন করেন। চুড়ান্ত তালিকার বাইরে রেজুলেশান করে নাম দেওয়া যায় কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা চেয়ারম্যান বলতে পারবেন। তিনি বলেন, এখানে আমার কোন বিষয় নেই।
এ বিষয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সচিব মোঃ সিরাজ উদ্দিন জানান, এমন বিষয়টি অনাকাঙ্খিত। তবে প্রতিটা ইউনিয়নে একজন ট্যাগ অফিসার থাকা সত্ত্বেও এমনটি কেন হলো বুঝতে পারছি না। তবে ইউএনও স্যারের নিকট তারা অভিযোগ করার পর বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ বিষয়ে বিগত মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা ভাল বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।’

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক