ফাল্গুনের বাতাস না থাকলেও রাজগঞ্জে আমের মুকুলের উুঁকি ও সৌরভের ঘ্রাণ

প্রকাশিত: ১০:৩৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০ | আপডেট: ১০:৩৯:পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

উত্তম চক্রবর্তী, মণিরামপুর(যশোর): শীতের মৌসুম শেষে এখন চলছে পৌঁষ পেরিয়ে মাঘ মাস। অথচ এরই মধ্যে আম গাছে আসতে শুরু করেছে আগাম আমের মুকুল। তাই কোথাও কোথাও বাতাসে বইছে মৌ মৌ সুবাস। যশোরের রাজগঞ্জের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় দেখা গেছে- বেশ কিছু আম গাছে উঁকি দিচ্ছে মুকুল। কয়েক দিনের মধ্যেই দেশের প্রতিটি জাতের আম গাছগুলোতে পুরোদমে আসতে শুরু করবে আমের মুকুল।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

আর সে জন্য আগেই বাগান চাষিরা তাদের বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আম বাগান মালিকরা জানান, পৌঁষের মাঝা-মাঝিতেই আম গাছে মুকুল দেখে তারা বুঝছেন আমের মৌসুম এসে যাচ্ছে। তাই মনে আশার প্রদীপ জ্বলে উঠেছে। তাইতো জোরেশোরে শুরু করেছেন বাগানের পরিচর্যার কাজ। নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে এক প্রকার ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আগাম মুকুল দেখে আম চাষিরা অনেকে খুশি হলেও কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন- শীত বিদায় নেওয়ার আগেই আমের মুকুল আসা ভালো নয়। এখন ঘন কুয়াশা পড়লে গাছে আগে ভাগে আসা মুকুল ক্ষতিগ্রস্থ হবে, যা ফলনেও প্রভাব ফেলবে। চালুয়াহাটী ইউনিয়নের আম চাষী মনিরুজ্জামান জানান- তিনি আম গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যা শুরু করে দিয়েছেন।
মুকুলের মাথাগুলোকে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে।  প্রায় গাছেই আমের মুকুল আসা শুরু হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করছেন এবার আমের ফলন ভালো হবে। 

চালুয়াহাটী ইউনিয়ন উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মারুফুল হক বলেন- প্রতি বছরই কিছু আম গাছে আগাম মুকুল আসে। এবারও আসতে শুরু করেছে।  ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যায়। আর আবহাওয়া বৈরী হলে ফলন মেলে না। তবে নিয়ম মেনে শেষ মাঘে যেসব গাছে মুকুল আসবে সেসব গাছে মুকুল স্থায়ী হবে। তার জন্য প্রয়োজন নিজেদের অনেক সচেতনতা এবং পর্যাপ্ত পরিচর্যা।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক