ডুুমুরিয়ার মাদারতলা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ কন্সটেবলের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশিত: ৩:০০ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২০ | আপডেট: ৩:০০:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২০ নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা): খুলনার ডুুমুরিয়া থানার মাদারতলা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ এএসআই রমজান আলী ও কন্সটেবল মোঃ নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ব্যাপক দূনীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় (প্রাপ্ত রিসিভ কপি) তাদের বিরুদ্ধে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ করা হয়েছে। ডুমুরিয়া উপজেলার বাগআঁচড়া গ্রামের মহাদেব মন্ডলের পুত্র সুব্রত মন্ডল তার অভিযোগে বলেন, গত ২২/০১/২০২০ইং তারিখ রাত ৮টার দিকে তার গ্রামের নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কর্মতর থাকা অবস্থায় মাদারতলা পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ এ এস আই রমজান আলী ও কন্সটেবল মোঃ নাসির উদ্দীন তাকে ডেকে দোকানের বাইরে নিয়ে এসে ৩০হাজার টাকা দাবি করে। এসময় তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এএসআই রমজান আলী তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন এবং তারা গালি দিতে দিতে দোকানের সামনে উপস্থিত একাধিক ব্যক্তির সামনে তাকে চড়, থাপ্পর, ঘুষি ও লাথি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তিনি মাটিতে লুটে পড়লে গায়ের উপর পা দিয়ে টাকা না দেয়া পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়। তা না হলে গাজা ও ইয়াবা দিয়ে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা চলে যান। সাবেক অধ্যক্ষ অপূর্ব কুমার বৈদ্য নামে এক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত মাদারতলা, বাগআঁচড়া, বয়ারসিং, মনোহরপুর, কুলবাড়িয়া গ্রামের একাধিক ব্যক্তির গণসাক্ষরের একটি অভিযোগে বলা হয়েছে, এএসআই রমজান আলী ও সিপাহী মোঃ নাসির উদ্দীন কর্তৃক এলাকার ছাত্র, যুবক, কৃষক ও ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় সোর্স এর মাধ্যমে ডেকে নিয়ে গাজার টোপলা দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন ও সেটা রেকর্ড করে টাকা দাবি করা হয়। তারা টাকা না দিতে পারলে তাদেরকে শারীরিক নির্যাতনও করা হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করলে প্রশাসনের কেউ কিছু করার ক্ষমতা রাখে না এবং যদি কেউ তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করার চেষ্টা করে তাহলে তাকে মাদক, ডাকাতি ও বিভিন্ন ধরণের হয়রানীমূলক মামলা দেয়ার ভয়ভীতি দেখানো হয়। ইতোমধ্যে অনেকে তাদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছ্ েআবার অনেকে আত্তগোপন করে আছে। এঘটনায় তাদের অত্যাচার হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য নিরুপায় হয়ে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার বরাবর পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এব্যাপারে এএসআই রমজান আলী বলেন, সুব্রতের দোকানে একটি বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। কিন্তু রাতে আমি সেটা সমাধান করে নিয়েছি। মাদারতলা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মোঃ জহির উদ্দীন বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। খুলনা পুলিশ সুপার মোঃ শফিউল্লাহ বলেন, কোন অভিযোগ করা হয়েছে কিনা সেটা এখনও পর্যন্ত আমি জানি না। তবে যদি কোন অভিযোগ করা হয়। তাহলে তদন্তপূর্বক অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস সংবাদটি ২৯৮ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন চুকনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা চুকনগরে ইঞ্জিন ভ্যান চালাতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুর করুন মৃত্যু