চুকনগরে যন্ত্রতন্ত্রভাবে অলিতে গলিতে সরকারী জমির উপর শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলার অভিযোগ: উচ্ছেদের দাবি

প্রকাশিত: ৫:৪৭ অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৯ | আপডেট: ৫:৪৭:অপরাহ্ণ, মে ২৫, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

গাজী আব্দুল কুদ্দুস, চুকনগর(খুলনা) সংবাদদাতা: খুলনার চুকনগরে যন্ত্রতন্ত্রভাবে অলিতে গলিতে সরকারী জমির উপর প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। এতে জনসাধারণ রাস্তা চলাচলে যেমন চরম ভোগান্তীর স্বীকার হচ্ছে তেমনি প্রতিনিয়ন ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। অতিরিক্ত অবৈধ স্থাপনার কারণে ময়লা আবর্জনা ফেলে পরিবেশ দূষিত করা হচ্ছে।
খুলনা-যশোর-সাতক্ষীরা তিন জেলার সংযোগস্থল ও খুলনার প্রবেশ দ্বার নামে খ্যাত চুকনগর শহরটি ঐহিত্যবাহী একটি বানিজ্যিক নগরী। এখানে রয়েছে ৬/৭টি সরকারী বেসরকারী ব্যাংক, শতাধিক এনজিং প্রতিষ্ঠান, বেশ কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা, রয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গামেন্টস, শহরের উপর রয়েছে একটি ইউনিয়ন পরিষদ, একটি পোষ্ট অফিস, দেশের স্বনামধন্য বেশ কয়েকটি হোটেল রেস্তোরা, রয়েছে একটি কমিউনিটি হাসপাতাল, রয়েছে ইউনিয়নে ভূমি অফিস, আটলিয়া ইউপির প্রচেষ্টায় সর্বশেষ নির্মিত হচ্ছে খুলনা বিভাগের একমাত্র কৃষি গবেষনা কেন্দ্র। এককথায় বলা যায় চুকনগর শহরের আরেক নাম পদ্মার এপারের একটি ঐহিত্যবাহী বানিজ্যিক ও শিল্প নগরী। কিন্তু অবিশ্বাস্য হলেও সত্য এ শহরের প্রতিটা ওলিতে গলিতে বারবার সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে সরকারী জমির উপর যস্ত্রতন্ত্রভাবে গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা। যার মধ্যে বাসষ্টান্ড হতে যতিন কাশেম রোড়ের দুই পাশ দিয়ে রাস্তার উপরে বসানো হচ্ছে ছোট বড় দোকান। যশোর রোডে বাসষ্টান্ড হতে গনি ডাক্তারের ঘর পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশ দিয়ে একেবারে মহাসড়ক জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে মাছ ক্রয় বিক্রয়ের অসংখ্য চাল বা ছাইনী। ভোর হতেই জনসাধারণের চলাচলের রাস্তার উপর হাড়ি পাতিল বিছিয়ে পুরো রাস্তা বন্দ করে দিয়ে মাছ ক্রয় বিক্রয় করা হচ্ছে। সাতক্ষীরা রোডে দুই পাশ দিয়ে ব্যবসায়ীরা মহাসড়কের উপর মালামাল রেখে বিক্রয় করছে। খুলনা রোডে সাতক্ষীরা ফুটস কোম্পানী পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা ও মহাসড়কের দুই পাশে অথ্যাৎ মানুষ চলাচলের সকল রাস্তা বন্দ করে হোটেল ব্যবসায়ী ও কাঠ ব্যবসায়ীরা কাঠ রেখে রাস্তা বন্দ করে দিয়েছে। অনেকে সরকারী জায়গা দখল করে দোকান তুলে সেটা আবার ভাড়া দিয়ে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা কামায় করছে। নিরুপায় হয়ে সাধারণ মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে মহাসড়কের উপর দিয়ে চলাচল করছে। প্রতিনিয়ত ফেলানো হচ্ছে ময়লা ও আবর্জনা। আর এভাবে ছাউনি দিয়ে দোকানপাট গড়ে তোলায় দুষিত হচ্ছে শহরের স্বাভাবিক পরিবেশ। তাই শহরের সচেতন ব্যবসায়ীদের দাবি অনতিবিলম্বে পরিবেশ ও জনস্বার্থের সার্বিক দিক বিবেচনা করে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হোক। এব্যাপারে শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মালিহা এন্টার প্রাইজের স্বত্তাধিকারী মোঃ মুর্শিদুল আলম মুর্শিদ বলেন, মাত্র ১/২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলেই হবে না। শহরের উপর অবস্থিত সকল অবৈধ স্থাপনা এই পবিত্র রমজান মাসের মধ্যেই উচ্ছেদ করার জন্য উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে একজন ব্যবসায়ী হিসানে জোর দাবি জানাচ্ছি।
বাজার ব্যবসায়ী কল্যান সমিতির সভাপতি প্রহ্লাদ ব্রহ্ম বলেন, আমরা ১/২দিনের মধ্যে শহরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের পক্ষের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানাব। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ কুমার রায় বলেন, আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট শহরের পরিবেশ ভাল রাখার জন্য যে ধরণের পদক্ষেপ গ্রহন করার প্রয়োজন সেই ধরণের ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য আমরা উদ্ধোর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে সবিনয় অনুরোধ করছি এবং এ কাজ করতে আমাদের যত প্রকার সহযোগীতার কর্তৃপক্ষের প্রয়োজন আটলিয়া ইউপির পক্ষ থেকে আমরা সেই ধরণের সহযোগীতা তাদের করব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ বেগম বলেন, আমরা ১/২টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আমাদের কার্যক্রম শেষ করিনি। অল্পদিনের মধ্যে মাইকিং করে অবৈধ স্থাপনা তুলে নেয়ার জন্য নিদ্রিষ্ট সময় দিব। যদি তারা স্বেচ্ছায় তাদের অবৈধ স্থাপনা তুলে নেয় তাহলে স্বাগত জানাব। আর যদি না তুলে নেয় তাহলে শহরের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আমরা অভিযান পরিচালনা করব।

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক