কালিগঞ্জে ৪৯টন সরকারি গম জব্দ: দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ১০:২৪ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২০ | আপডেট: ১০:৩০:অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২০

সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ চোরা কারবারীর ৪৯ টন(২’শ বস্তা) গম জব্দ করেছে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ। জানা গেছে, শ্যামনগর থেকে পাচারকরা সরকারি খাদ্য অধিদপ্তরের কাবিখা প্রকল্পের ৪৯ টন গম মজুদ করার ঘটনায় কালিগঞ্জের ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের সুলতানপুর কলোনী এলাকায় চাউল ব্যবসায়ী আব্দুল গফফারের মনিমুক্তা রাইস মিলের গুদাম ঘর হতে ৪৯ টন(২’শ বস্তা) গম উদ্ধার করেছে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে মিল মালিক আব্দুল গফফারের পুত্র মনিরুল ইসলাম ও ম্যানেজার মুকুল হোসেন এবং শ্যামনগর উপজেলার রমজান নগর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য পবিত্র মন্ডল কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ২৮ মে বৃহস্পতিবার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাতক্ষীরা জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হুসেনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কালিগঞ্জ সার্কেলের জামিরুল ইসলাম জামি উপস্থিতিতে গত ২৭ মে বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টা হতে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নে অবস্থিত সুলতানপুর কলোনিতে মনি মুক্তা রাইস মিলের গোডাউন ঘর হইতে গম উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান পি পি এম(বার) ঘটনাস্থল ও থানা পরিদর্শন করেন। সম্প্রতি বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্থ শ্যামনগর এলাকায় বাঁধ পুনঃবাসন ও রক্ষনা বেক্ষনের জন্য জন্য কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচীর আওতায় ঐসকল গম বরাদ্দ দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। উক্ত গম বিভিন্ন ভুঁয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ডিও বিক্রি করে শ্যামনগর থেকে পাচার করে কালিগঞ্জে মজুদের সময় আটক করা হয়। শ্যামনগরের ব্যবসায়ী মোহাম্মাদ আলীর নিকট হতে কালিগঞ্জের ব্যবসায়ী আব্দুল গফফার ৪৯ টন(২’শ বস্তা) গম ক্রয় করেন বলে জানান।

এবিষয়ে আব্দুল গফফার জানান শ্যামনগরের মোহাম্মাদ আলীর নিকট হইতে ৪৯ টন গম বিভিন্ন ডিও লেটারের গম ক্রয় করি। সমস্ত কাগজপত্র তার নিকট আছে।

থানা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি দূনীতি দমন কমিশনের তফশীলভুক্ত হওয়ায় আসামীদেরকে প্রাথমিকভাবে কালিগঞ্জ থানার সাধারণ ডায়েরী নং-৯২৫, তারিখ-২৮/০৫/২০২০খ্রিঃ ধারা-ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৫৪ মোতাবেক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের কর্মকর্তা আসামীদের বিরুদ্ধে দূনীতি দমন কমিশন (দুদক), সমন্বিত জেলা কার্যালয় (সজেকা), খুলনা (সাতক্ষীরা) এর মামলা নং-১১, তারিখ-২৮/০৫/২০২০খ্রিঃ ধারা-দঃ বিঃ আইনের ৪০৯/৪২০/৪৬৮/৪৭১/ ৪৭৭(ক)/১০৯ তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) রুজু করেন এবং মামলার তদন্তভার গ্রহণ করেন। মামলাটি বর্তমানে দুদক, খুলনার নিকট তদন্তাধীন রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

নূর ইসলাম বাবু। সংবাদদাতা, কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।