করোনা পরিস্থিতি: বাজার বন্ধ থাকায় পান নিয়ে বিপাকে রাজগঞ্জের চাষীরা

প্রকাশিত: ৯:২০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০২০ | আপডেট: ২:২৬:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২০

উত্তম চক্রবর্তী, মণিরামপুর(যশোর): হাট-বাজার বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন রাজগঞ্জের মশ্বিমনগর ইউনিয়নের পারখাজুরার পান চাষীরা। যার ফলে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন এ অঞ্চলের শতাধিক পান চাষী। তাদের প্রধান আয়ের উৎস পান চাষ করে, বিক্রি করা। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজার বন্ধ থাকায় প্রান্তিক পান চাষিদের দুর্দিন চরমে উঠেছে। পান চাষীরা, প্রশাসনের নির্দেশনা মেনেই উৎপাদিত পান বিক্রি করতে চাই। এমন কথা জানিয়েছেন তারা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

রাজগঞ্জের মশ্বিমনগর ইউনিয়নের পারখাজুরা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী কয়েকটি ইউনিয়নে উৎপাদিত হয় পান। এতে সর্বোচ্চ মিস্টি পান উৎপাদিত হয় পারখাজুরায়। এ পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকা, খুলনা, যশোর, মণিরামপুর, কেশবপুর, বাঁকড়া, ঝিকরগাছা ও বাগআঁচড়ার বড় বড় পান বাজারে বিক্রি হতো পান। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে বাজারগুলো এখন বন্ধ রয়েছে। এ কারণে পান চাষিরা রয়েছে মহা বিপাকে।
পারখাজুরা গ্রামের পান চাষি মোহাম্মদ আলী মিয়া জানান, প্রতি সপ্তাহে পান বিক্রি না করলে পান গাছের সব পানই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

পান বাজার বন্ধ থাকায় পান বিক্রি করতে না পেরে চাষিরা মাটিতে পুতে রাখছে নষ্ট পান। শুধু চাষী নয়, পান চাষের উপর নির্ভরশীল রয়েছে শত শত পরিবার। কেউ পান ব্যবসা করে, আবার কেউ পান বরজের শ্রমিক। এখন সবকিছুই বন্ধ রয়েছে। তারা জানিয়েছেন, আমরা সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখেই বাজারে পান বিক্রি করতে চাই। গত দেড়/দুই সপ্তাহ ধরে পান বাজার বন্ধ থাকায় পান চাষে জড়িত নিম্নবত্তি ও মধ্যবিত্ত এসব পরিবারে ব্যাপক অর্থ সংকট দেখা দিয়েছে।

পান চাষী ফজলুল করিম জানিয়েছেন, পান বিক্রি বন্ধ থাকায় আমরা পরিবার নিয়ে অনেক কষ্টে আছি। পান চাষীরা এখনো কোনো সহায়তাও পায়নি। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি। পান কাঁচা পণ্য। এটি কোন ভাবেই গাছে রাখা যায় না। প্রতি সপ্তাহে উৎপাদিত পান বিক্রি করতে হয়। আমরা চাই সরকারের নির্দেশনা মেনেই পান বিক্রি করতে।

পারখাজুরা পান বাজারের এক ইজরাদার জানিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে দুইদিন এ বাজার পানের হাট বসে। এতে দুইবারে পান বিক্রি হয় অন্তত কয়েক লক্ষ্য টাকার। পান চাষে এখন সর্বোচ্চ শ্রমিকের প্রয়োজন। প্রতিটি পান বরজের উপর নির্ভর করে অন্তত ৫টি পরিবার। এখন সবই বন্ধ রয়েছে। আমরা চাই, যাচাই-বাচাই করে পান বাজারগুলি চালু করতে।

রাজগঞ্জ বাজারের খিঁলি পান ব্যবসায়ি মোহাম্মদ রনি জানিয়েছেন, বাজার বন্ধ থাকায়, আমাদের ব্যবসাও বন্ধ রয়েছে। এখন পরিবার নিয়ে আমরাও অর্থ সংকটে পড়েছি।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক