কপিলমুনি ১৯ ও হরিঢালীতে ২০ মন্ডপে চলছে দুর্গা প্রতিমায় তুলির আঁচড়

প্রকাশিত: ৩:২৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯ | আপডেট: ৩:২৪:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা):
সমস্ত বিপদ-আপদ ও দূর্গতী নাশ করেন যিনি তিনিই দুর্গতীনাশিনী, তিনিই হচ্ছেন দেবী দুর্গা। আর সেই দেবী দুর্গা প্রতি বছর একবার শরতের শুরুতেই ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে ধরণীতে আসেন।
হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজাকে সামনে রেখে কপিলমুনি এলাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপে অত্যন্ত ব্যাস্ততার সাথে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ। প্রতিমা ভাস্করদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় প্রতিটি বিগ্রহ দেবতার রুপ পাচ্ছে। মন্ডপগুলো যেন ভাস্করদের সাধনাস্থলে রুপ নিয়েছে।
সরেজমিনে মন্ডপগুলো ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি মন্ডপেই প্রতিমা শিল্পীরা দুর্গা প্রতিমা তৈরী ও মন্দির সাজানো কাজ করে চলেছেন। এলাকার উল্লেখযোগ্য মন্ডপগুলোর মধ্যে রয়েছে কপিলমুনির মিলন মন্দির (কালীবাড়ী) পূজা মন্ডপ, নাছিরপুর মিতালী যুব সংঘ (সিংহবাড়ী) পূজা মন্ডপ, কপিলমুনি পূর্বপাড়া পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর সাধুপাড়া পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর দাসপাড়া পূজা মন্ডপ, নাবা পূজা মন্ডপ, গোয়ালবাথান পূজা মন্ডপ, চিনেমলা পূজা মন্ডপ, হাউলী সার্বজনীন পূজা মন্ডপ, নাবা হরিতলা পূজা মন্ডপ, আগরা পূজা মন্ডপ, কাশিমনগর হরিসভা পূজা মন্ডপ, নাছিরপুর বাবুলাল হালদার পূজা মন্ডপ, মামুদকাটী পূজা মন্ডপ, হরিদাশকাটী পূজা মন্ডপ, নোয়াকাটী পূজা মন্ডপ, হরিঢালী পোদ্দারপাড়া পূজা মন্ডপ, রামনাথপুর পূজা মন্ডপ।
পূজা উদ্যাপন পরিষদ জানিয়েছে, এবছর পাইকগাছা উপজেলায় ১৪৯টি মন্ডপে পূজা উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে, তার মধ্যে কপিলমুনি ইউনিয়নে ১৯টি ও হরিঢালী ইউনিয়নে ২০টি পূজা মন্ডপে সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গোৎসব। আগামী ৪ অক্টোবর শুক্রবার দুপুর ২টা ৫৪ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে ষষ্ঠী পূজা’র মধ্যদিয়ে দূর্গতীনাশিনী দেবী দুর্গা পূজার সুচনা ঘটবে।
কপিলমুনি ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল হোসেন খোকন বলেন, ‘সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। ধর্মীয় বেড়াজাল পেরিয়ে অনুষ্ঠানটি সামাজিক উৎসবে রুপ নেয়। এ উৎসবকে সফল ভাবে সুসম্পন্ন করার জন্য প্রশাসনসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতা একান্তভাবে কামনা করছি’।
কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ীর এ এস আই প্রবাস মিত্র বলেন, ‘বর্তমানে আমরা পুলিশের টহল অব্যাহত রেখেছি। পূজা শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার রাখবো ’।
কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ার্দার বলেন, ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এলাকা কপিলমুনি, এখানে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দূর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশা রাখি। প্রতি মন্ডপে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে চৌকিদার ও আনছার সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন’। দুর্গোৎসব সফল করতে আমি ইউনিয়নবাসীর সহযোগীতা চাই।
পাইকগাছা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস বলেন, ‘পূজা উৎসব সকলের জন্য। প্রশাসনসহ সর্বস্তরের নের্তৃবৃন্দের সহযোগিতায় বিগত বছরের ন্যায় এবারের পূজাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি আশাবাদী। এ এলাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। স্ব-স্ব পূজা মন্ডপে মন্ডপ কমিটির নেতৃবৃন্দকে কড়া নজরদারী রাখতে বলা হয়েছে’।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক