কপিলমুনির হাউলী পশ্চিম পাড়ায় বুলবুলের তান্ডব

প্রকাশিত: ৮:২২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯ | আপডেট: ৮:২২:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, কপিলমুনি(খুলনা):
প্রচন্ড বেগে তেড়ে আসা ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে হাউলী পশ্চিম পাড়ার কয়েকটি পরিবার। বসত ঘরের চাল বিদ্ধস্ত হয়ে খোলা আকাশের নীচে আশ্রয় নিয়েছে সালাউদ্দিনের পরিবার। এমতাবস্থায় সালাউদ্দিনের একমাত্র কন্যা ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী তানিয়ার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে পড়েছে। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ এ পরিবারটি এক প্রকার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
সোমবার সরেজমিন ক্ষতিগ্রস্থ ঐ এলাকায় গিয়ে দেখাযায়, সালাউদ্দিনের দুটি ঘরই বিদ্ধস্ত হয়েছে। মাটির সাথে মিশে গেছে সব কিছুই। ঘরের চাল উড়ে গিয়ে এক পার্শ্বে গাছে বেঁধে আটকে রয়েছে। দেড় কাঠা জায়গার উপর এ বাড়িটির অবকাঠামোর কোন অংশ অবশিষ্ট নেই। একইভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নাছিমা বেগম (৪০) এর বসতঘর, একই পাড়ার ফটিক সানার পুত্র মফিজুল, জলিল গাজীর পুত্র শাহিন গাজী, সেলিনা বেগম, ইনছার গাজীর পুত্র মারুফ গাজী, বাবর আলীর পুত্র অলিয়ার গাজী, রজবালীর পুত্র জসিমের বসত ঘর।
ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, তারা সরকারী ভাবে কোন অনুদান পাননি। তাৎক্ষনিক ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ। তারা জানান, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওছার আলী জোয়াদ্দার নাম লিখে নিয়ে গেছেন।
এদিকে ৯ম শ্রেনীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী তানিয়ার পড়ালেখা বন্ধ হতে বসেছে। খোলা আকাশের নীচে কোন রকম রাত কাটাচ্ছে পরিবারটি। তানিয়ার পিতা সালাউদ্দিন জানান, সন্ধ্যার পর একমাত্র মেয়ে তানিয়ার নিরাপত্তার কথা ভেবে পরিবারের সবাই খুবই দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে রাতে জেগে থাকছি। বর্তমান ঘরটি পুনরায় সংস্কার করার মত আর্থিক কোন সক্ষমতা না থাকায় এক প্রকার হতাশায় রয়েছি। তিনি জানান, তার পরিবারের ভরনপোষন চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন পিতা সালাউদ্দিন। তার উপর এমন ক্ষতি কাটিয়ে উঠা অত্যন্ত দুরহ ব্যাপার। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এইচ এম এ হাশেম/কপিলমুনি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক