কপিলমুনির করোনাযোদ্ধা পুলিশ ইন্সপেক্টর সঞ্জয় দাশ অবশেষে করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশিত: ৯:০৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২০ | আপডেট: ৯:০৫:অপরাহ্ণ, জুন ২৫, ২০২০

হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, নিয়ন্ত্রণহীন গোটা এলাকা!

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

একজন করোনাযোদ্ধা খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ী ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সঞ্জয় দাশ অবশেষে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি সরকারী বিধি মোতাবেক কপিলমুনির পুলিশ ব্যারাকের অধিনে কয়েক দিন হোম কোয়ারান্টাইনে চিকিৎসাধী থাকার পর বুধবার উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা পুলিশ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

জানাযায়, মহামারী করোনায় আক্রান্ত পুলিশের এ কর্মকর্তা শুরু থেকেই এলাকাকে নিরাপদ রাখতে দিনরাত পরিশ্রম করেছেন। সচেতনতার জন্য তিনি পথে পথে মাইকিং করে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। জনসমাগম এড়াতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মানুষকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালিয়েছেন তিনি। সরকার ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে তার অবদান ছিল চোখে পড়ার মত। এক কথায় এলাকাটি করোনামুক্ত রাখতে এবং জন-সমাগম এড়াতে ক্লান্তিহীন পথ চলা পুলিশের এই কর্মকর্তা অবশেষে মহামারী করোনায় আক্রান্ত হলেন। সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

এদিকে হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রথমত উপজেলাটি শুন্যের কোটায় থাকলেও বে-রশিক মানুষের অবাধ চলাফেরায় প্রতিনিয়তই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। উপজেলাটি এক প্রকার নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। হাট বাজার গুলিতে জনসমাগম যেন বেড়েই চলেছে। উপজেলা প্রশাসন প্রথম দিকে বিশেষ নজরদারী করলেও বর্তমানে কোন তদারকি নেই বলে জানান অনেকেই। এমতাবস্থায় আতংকিত সচেতন এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে খোঁজ নিতে ইন্সপেক্টর সঞ্জয় দাশ মুঠোফোনে জানান, পাইকগাছা থানা ওসি এজাজ শফি সার্বক্ষনিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। এছাড়া আর বিশেষ কেউ তাকে খোঁজ খবর নেয়নি বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে কোন বার্তা পেয়েছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কেউ ফোন করেননি। বর্তমানে অনেকটা ভালো আছেন জানান তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

এইচএমএ হাশেম। নিজস্ব প্রতিবেদক। কপিলমুনি, খুলনা