কপিলমুনির এসআই অভিজিৎ রায় আবারো বিতর্কে: মাদক না পেয়েও দিলেন মাদকের মামলা

প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২০ | আপডেট: ৬:১৩:অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২০

ফের বিতর্কে জড়ালেন খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির এস আই অভিজিৎ রায়। এবার নিরাপরাধ দু সহদরকে ধরে মাদক মামলা দিয়ে জেল খাটাচ্ছেন তিনি। কয়েক মাস আগেও কপিলমুনিতে নানা বিতর্কিত কাজ করে একাধিক প্রিন্টিং মিডিয়া ও অনলাইন সংবাদপত্রের ধারাবাহিক খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

ঘুষ, স্বেচ্ছচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাদাচরনের জন্য তিনি কপিলমুনিতে নানা বিতর্কের সৃষ্টি করেই চলেছেন। তাঁর এহেন কর্মকান্ডে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়ির তথা পুলিশের মর্যাদা ক্ষুন্নসহ আস্থা হারাচ্ছেন সাধারন মানুষ।

সাতক্ষীরা জেলার তালা থানার কানাইদিয়া গ্রামের পক্ষাঘাত রোগী শেখ সাহাজুল ইসলামের দুই ছেলে অপু ও দিপু গত ২৩ মে কপিলমুনি বাজারে ঈদের সেমাই, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য কিনতে আসলে কপিলমুনি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে প্রকাশ্যে দিবালোকে শত শত ক্রেতা ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে বড় ছেলে ইজিবাইক চালক অপু ও কলেজ পড়–য়া দিপুকে আটক করে। কিন্তু এক চিলতে মাদকও তাদের কাছে পাওয়া যায়নি বলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান। মাদক না পেলেও জোর পূর্বক ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতিবাদ জানালেও তা কর্নপাত করেননি এস আই অভিজিৎ। খবর পেয়ে দু’সহদরের মা হোসনেয়ারা বেগম ফাঁড়িতে গেলে তাকে ঢুকতে না দিয়ে তড়িঘড়ি করে দারোগা অভিজিৎ মোটর সাইকেল যোগে তাদেরকে থানায় নিয়ে গাঁজা, ইয়াবা ও ফেন্সিডিল উদ্ধার দেখিয়ে মাদক আইনে মামলা দিয়ে তাদেরকে জেলহাজতে পাঠায়। যার মামলা নং ২৩/১৬৩ তাং ২৩/০৫/২০। দারোগা অভিজিৎ চরম মানবতাহীন কাজ করেছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান।

সূত্র জানায়, বর্তমানে ঐ দু’ভাই জেলের ঘানি টানছে। এ ঘটনায় এলাকার মানুষের মাঝে এস আই অভিজিতের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অপু দিপুর মা হোসনেয়ারা বেগম স্থানীয় সাংবাদিকদের নিকট তার সন্তানদের এই পরিনতির কথা এবং দারোগার অসাদাচরনের বর্ননা দিতে গিয়ে অঝোরে কাঁদলেন কিছুক্ষণ। কান্নার ভিতরে তিনি বলেন, দু’সন্তানের সারা মাস রোজা রাখার পর ঈদের আনন্দ টুকুও কেড়ে নিল ওই দারোগা।’

মা হোসনেয়ারা বেগম আরো জানান, ৪ মাস আগে পাইকগাছা থানা সীমানা অতিক্রম করে তালা থানার আমাদের কানাইদিয়া গ্রামে এসে আমার ছেলে অপুকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে মা বাধা দিলে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয় গ্রামবাসীর তোপের মুখে দারোগা অভিজিৎ ফিরে আসতে বাধ্য হয়। একটা থানা এলাকা অতিক্রম করে অন্য থানায় এসে অভিযোগ ছাড়াই ছেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা একটা বড় ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই না বলে মা হোসনেয়ারা জানান। পঙ্গু স্বামী নিয়ে মানবেতর জীবন যাপনকারী হোসনেয়ারা বেগম তার নির্দোষ দু’ ছেলেকে মামলা থেকে অব্যাহতি ও ষড়যন্ত্রকারী এস আই অভিজিতের শাস্তি দাবি করে খুলনা পুলিশ সুপারসহ বিভাগীয় পুলিশ কর্মকর্তার সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

এবিষয়ে এস আই অভিজিৎ রায় বলেন, ‘তাদের কাছে মাদক পাওয়া গিয়েছিল।


আপনার মতামত লিখুন :

এইচএমএ হাশেম। নিজস্ব প্রতিবেদক। কপিলমুনি, খুলনা