আশাশুনি মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৪ সহ অন্যান্য সংবাদ

প্রকাশিত: ৮:২৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০ | আপডেট: ৮:২৯:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২০

আশাশুনি মাদক ব্যবসায়ীসহ গ্রেফতার ৪

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন মামলার ৪ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতদের মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালামের নেতৃত্বে এসআই পীযূষ কান্তি ঘোষ অভিযান চালিয়ে নিয়মিত মামলা ২৩(১)২০ আসামী ফটিকখালী গ্রামের মুনছুর গাজীর ছেলে হাসেম গাজীকে কাপসন্ডা বাজার হতে গ্রেফতার করে। এএসআই নাজিম উদ্দীন পৃথক অভিযানে গুনাকরকাটি গ্রামের আজগর আলী মোল্যার ছেলে রবিউল ইসলামকে৫০ গ্রাম গাঁজাসহ গুনাকরকাটি বাজার হতে গ্রেফতার করে। এ ব্যাপারে ২৫(০১)২০ নং মামলা রুজু করা হয়েছে। এএসআই পূর্নানন্দ হরি বুধহাটা গ্রামের আবুল হোসেন সরদারের ছেলে সালাউদ্দীনকে ১৫ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেন। এব্যাপারে ২৯(০১)২০ নং মামলা রুজু করা হয়েছে। এদিকে এএসআই কবির হোসেন সিআর-৮/১৭ এর আসামী বুধহাটা গ্রামের মৃত হানিফ সরদারের ছেলে আব্দুল খালেক সরদারকে গ্রেফতার করেন।

আশাশুনি রেজিষ্ট্রি অফিসের খামখেয়ালিপনায় ভোগান্তিতে ক্রেতা-বিক্রেতারা

আশাশুনি সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের খামখেয়ালিপনায় চরম ভোাগান্তির শিকারে পরিণত হয়েছে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ সংশ্লিষ্টরা। দলিল রেজিস্ট্রীর দিন তারিখ নিয়ে তালবাহনা এবং নানান অনিয়মের কারনে ক্রেতা-বিক্রেতাসহ রেজিস্ট্রী অফিস সংশ্লিষ্টরা নাজেহাল ও চরম বিপত্তিতে রয়েছেন।
সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ৫দিন সরকারি কার্য দিবস। কিন্তু আশাশুনির মানুষ ৫ দিনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত দীর্ঘকাল। আগে সপ্তাহে ৩ দিন, ২ দিনও রেজিস্ট্রীর কাজ করা হতো। বর্তমানে ইতিহাস সৃষ্টি করে সপ্তাহে মাত্র একদিন (বৃহস্পতিবার) দলিল রেজিষ্ট্রি করার নিয়ম করা হয়েছে। একদিনের কার্য দিবসের ইতিহাসসৃষ্টিকারী নিয়মে পড়ে আশাশুনির মানুষ মহা ফাপরে পড়েছেন। তারপরও তারা অনেক ক্ষতি মেনে নিয়ে সারা সপ্তাহের দলিলের চাপ একদিনে মাথায় রেজিষ্ট্রির কাজে আশাশুনিতে জড়ো হচ্ছেন। ফলে কোন রকম সমস্যা হলে আবার এক সপ্তাহের জন্য অপেক্ষার পালা। এক সপ্তাহে দলিল রেজিষ্ট্রি কম হলে পরের সপ্তাহে পেছনের দলিলের সাথে নতুন দলিল একত্রিত হয়ে বেড়ে যায় দূরদুরান্ত থেকে আসা জমির দাতা ও গ্রহিতাদের ভোগান্তি। সপ্তাহে একদিন দলিল রেজিষ্ট্রি নিয়ম করায় দাতা গ্রহিতাদের জমি রেজিষ্ট্রি করতে বার বার ধর্ণা দিতে হয় রেজিষ্ট্রি অফিসে। আশশুনি উপজেলা থেকে প্রায় ৩৫ কিঃমিঃ দূরে প্রতাপনগর ইউনিয়নের আব্দুল গফুর সরদার জানান, তিনি কয়েক সপ্তাহ ধরে জমি রেজিষ্ট্রি করাতে আশাশুনি রেজিষ্ট্রি অফিস ধর্ণা দিচ্ছেন। কিন্তু দলিলের পরিমান বেশী হওয়ায় রেজিষ্ট্রি কাজ সম্পন্ন না করেই যেন খালি হাতেই বাড়ী ফিরে যেতে হচ্ছে তাকে। তিনি আরও বলেন, তার ক্রয়কৃত জমির মোট ৫জন দাতা। প্রতেক দাতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত। দু’একদিনের জন্য ছুটিতে এসে জমি হস্তান্তর করতে না পেরে ফিরে যেতে হয়েছে তাদের। পরের সপ্তাহে জমি রেজিষ্ট্রির জন্য আবারও ছুটি নিয়ে আশাশুনিতে আসতে হয়েছে তাদের। রেজিষ্ট্রারের এ খামখেয়ালিপনায় আমাদের মূল্যবান সময় ও অর্থ দুুটোই নষ্ট হয়েছে। উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নের বেউলা গ্রামের মতিয়ার রহমান বলেন, কাগজপত্র প্রস্তুত করে বুধবার রেজিষ্ট্রি অফিসে জমা দিলেও অজানা কারণে জমি রেজিষ্ট্রি করতে না পেরে জমির দাতাদের নিয়ে বাড়ি ফিরতে হয়েছে তাকে।
সরকারী ভাবে দেশের প্রতিটি জেলায় একজন করে জেলা রেজিষ্ট্রার ও প্রত্যেক উপজেলায় একজন করে সাব-রেজিষ্ট্রারের দায়িত্ব পালন করার কথা থাকলেও আশাশুনি সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে নিয়মিত সাব-রেজিষ্ট্রার না থাকায় জেলা থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সাব-রেজিষ্ট্রার (খন্ডকালীন) মোঃ রফিকুল আলম। ভূক্তভোগীরা জানান, টেবিলের উপর একাধিক দলিল পড়ে থাকলেও ঘড়িতে বিকাল ৫টা বেজে গেলেই দ্রুত অফিস থেকে জেলা শহরের উদ্দেশে বেরিয়ে যান সাব-রেজিষ্ট্রার রফিকুল আলম। সব মিলিয়ে জমি রেজিষ্ট্রিতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি যেন চরম আকারে ধারণ করেছে। অন্যদিকে অফিসের বাইরে প্রতি বুধবার গণ-শুনানীর সাইনবোর্ড টানানো থাকলেও শুনানী তো দূরের কথা, উক্ত দিনে রেজিষ্টারই অফিসে থাকেন না। এব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা রেজিস্ট্রার আঃ হাফিজ বলেন, আগামী সপ্তাহ থেকে একজন সাব রেজিস্ট্রীর সপ্তাহে দু’দিন অফিস করবেন। আশাশুনি অফিসের পদ শূণ্যের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী সাব রেজিস্ট্রীার নিয়োগ পাবেন।

আশাশুনিতে ন্যাশ এর সার্ভে অনুষ্ঠিত

আশাশুনিতে ন্যাশনাল এ্যাসেসমেন্ট অব সেকেন্ডারী স্টুডেন্টস (ন্যাশ)- ২০১৯ এর মেইন সার্ভে অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলার ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ সার্ভে অনুষ্ঠিত হয়।
ন্যাশ এর মেইন সার্ভে সুচারুভাবে স্বপন্ন করার লক্ষ্যে নির্ধারিত ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহনে সার্ভে অনুষ্ঠিত হয়। ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৪টি মাদরাসার নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের নিয়ে ২৭ জানুয়ারি তথ্য সংগ্রহ/জরিপ করা হয়। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বাকী বিল্লাহ জানান, প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান হতে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ৩০ জন, ৮ম শ্রেণিতে ৩০ জন করে শিক্ষার্থীর সার্ভে করা হয়। ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সার্ভে করা হবে আগামী ১০ মার্চ।

বুধহাটায় গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা প্রদান

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা ইউনিয়নে গবাদি পশুকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার দিনভর এ ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের উদ্যোগে বুধহাটা ইউনিয়নের শে^তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে এলাকার গবাদি পশুর চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য ক্যাম্প পরিচালনা করা হয়। এসময় ১২১ ব্যক্তির পশু চিকিৎসা ক্যাম্পে আনা হয়। যাদের ৩৭৩টি গরু ও ২০৮টি ছাগলের ঔষধ ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কৃমি নাশক ঔষধ দেওয়া হয় ৪০০ পশুকে। কেবল চিকিৎসা দেওয়া হয় ২১টি গরু ও ১৫টি ছাগলকে। চিকিৎসা ক্যাম্প পরিচালনা করেন উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান, উপ সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ ও এলএসপি অহিদুর রহমান।

বুধহাটা স্কুলে কক্ষ পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ

আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা বিবিএম কলেজিয়েট স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব প্রাপ্ত কক্ষ পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে স্কুল মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বুধহাটা কলেঃ স্কুল পরীক্ষা কেন্দ্রের অধীন ১৩টি বিদ্যালয়ের ৮০ জন শিক্ষককে পরীক্ষায় কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন সম্পর্কে বিস্তারিত প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। কেন্দ্রটিতে ৭৮২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে। কেন্দ্র সচিবের দায়িত্বে থাকছেন প্রধান শিক্ষক দাউদ হোসেন। সহকারী কেন্দ্র সচিব প্রধান শিক্ষক পরিমল কুমার দাশ, হল সুপারের দায়িত্বে থাকবেন প্রধান শিক্ষক শংকর কুমার গাইন ও প্রধান শিক্ষক সাহাজুদ্দিন সরদার।

বড়দল খাদ্য গুদামে লাইনে দাঁড়িয়ে ধান বিক্রয়

আশাশুনি উপজেলার বড়দল খাদ্য গুদামে ধান বিক্রয়ের জন্য তালিকাভুক্তরা লাইনে দাঁড়িয়ে ধান বিক্রয় করছেন। মঙ্গলবার সাংবাদিকরা খাদ্য গুদামে গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে ধান বিক্রয়ের দৃশ্য দেখতে পান।
খাদ্য গুদামের অধীন কাদাকাটি, বড়দল, খাজরা, আনুলিয়া, প্রতাপনগর ও দরগাহপুর ইউনিয়নের ৯৩০ জন চাষিকে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয়েছিল। সম্প্রতি সকল ইউনিয়নে মাইকিং করে তালিকাভুক্তদের ধান গুদামে পৌছে দিতে আহবান জানান হয়। মাইকিং শুনে কৃষকরা ধান নিয়ে গুদামে দৌড়ে আসলে লম্বা লাইন পড়ে যায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩৮০ জন কৃষক ধান বিক্রয় করেছেন। বড়দলের আশুতোষ মন্ডল, প্রফুল্ল কুমার সরদার, আনুলিয়ার কবিরুল, দরগাহপুরের রমজান আলি ফকির জানান, তারা মাইকে প্রচার শুনে ধান দিতে এসেছেন। তারা ধান বিক্রয় করতে পেরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। খাদ্যগুদামে ধান ক্রয়কালে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল ও ওসিএলএসডি আশরাফ আলি সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন।

প্রতাপনগরে দু’দিনের তাফসীর মাহফিল শুরু ৩০ জানুয়ারি

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে দু’দিন ব্যাপী ৯ম বার্ষিক তাফসীরুল কোরআন মাহফিল শুরু হবে আগামী ৩০ জানুয়ারি। প্রতাপনগর যুব সমাজের আয়োজনে সকল মৃতব্যক্তিদের রূহের মাগফিতার কামনায় প্রতাপনগর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি বৃহস্পতি ও শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন। প্রধান বক্তা থাকবেন প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন আলহাজ¦ মাওঃ মনিরুজ্জামান, খুলনা। ২য় বক্তা থাকবেন, আলহাজ¦ মাওঃ আবু বক্কর সিদ্দিক, খুলনা। মাহফিলে সভাপতিত্ব করবেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ মাওঃ আঃ মান্নান। মাহফিলে সকলকে উপস্থিত থাকতে কমিটির পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক