আশাশুনির বজ্রপাতে নিহতের পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান সহ অন্যান্য সংবাদ

প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২০ | আপডেট: ১১:৪৮:অপরাহ্ণ, মে ৮, ২০২০

আশাশুনির বজ্রপাতে নিহতের পরিবারকে নগদ অর্থ প্রদান

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি ইউনিয়নের এক বজ্রপাতে নিহত শ্রমিকের পরিবারের হাতে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২.৩০ টার দিকে নিহতের বাড়িতে গিয়ে টাকা হস্তান্তর করা হয়।
কাদাকাটি গ্রামের মৃত সুধীর বৈরাগির পুত্র অনাথ বৈরাগি করোনা ভাইরাসের কারনে এবার বাইরের জেলায় ধান কাটার কাজে যেতে পারেননি। বাধ্য হয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রাজনগর এলাকায় ধান কাটার কাজে গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় তার উপর বজ্রপাত ঘটলে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

জেলা প্রশাসক মহোদয় নিহতের পরিবারকে সহায়তার জন্য ১০ হাজার টাকা প্রদান করেন। শুক্রবার জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসাবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনা সুলতানা তাদের বাড়িতে গিয়ে নিহতের কন্যা দরগাহপুর কলেজিয়েট স্কুলের ২য় বর্ষের ছাত্রী মিনাক্ষী বৈরাগি ও স্ত্রীর হাতে টাকা তুলে দেন। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী, কাদাকাটি ইউপি চেয়ারম্যান দীপঙ্কর কুমার সরকার দীপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মোবাইল কোর্টে

আশাশুনিতে মোবাইল কোর্টে তিন জনকে জরিমানা

আশাশুনিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ পাজা মালিককে জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নে এ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামাল মহোদয়ের নির্দেশনা মোতাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজ্ঞ নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনা সুলতানা দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি গ্রামে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় অবৈধ ভাবে পাজায় ইট পোড়ানোর লক্ষ্যে পূর্ব প্রস্তুতি গ্রহণ করার অপরাধে খরিয়াটি গ্রামের আঃ ছাত্তারের পুত্র শরিফুল ইসলামকে ১৫০০ টাকা, মৃত ছফুর গাজীর পুত্র শাহিন গাজীকে ২০০০ টাকা ও মুন্সী ফকির খার পুত্র একোব্বার আলিকে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে সেনাবাহিনী সদস্য, পুলিশ ও স্থানীয় ইউনিয়ন ভুমি সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।

খাজরার চেয়ারম্যান ডালিমের বাড়ি ভাংচুর মামলার আসামী গ্রেফতার

আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ এস এম শাহনেওয়াজ ডালিমের বাড়ি গাড়ী ভাংচুর ও লুটপাট মামলাসহ তার ভাই টগরকে মারপিট মামলার আসামী জামাল মোল্যাকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে গদাইপুর গ্রামে তার বাড়ি থেকে আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১০ এপ্রিল শুক্রবার সকালে খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান ডালিমের ভাই টগর মাছ বিক্রয়ের জন্য গদাইপুর মৎস্য সেটে যান। এসময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একাধিক মামলার আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে হাতুড়ি ও রামদা দিয়ে তাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। টগর আহত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ একত্রিত হয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে সরবত ও রব্বানীসহ কমপক্ষে ৫জন আহত হয়। সরবত মোল্যা খুলনা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোর রাতে মারা যান। এদিকে, সরবতের মৃত্যুর খবরে জানার পর তার পক্ষের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে চেয়ারম্যান ডালিমের বাড়িসহ ৫টি মোটর সাইকেল ও একটি প্রাইভেটকারসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এঘটনায় তার ভাই ওবায়দুল্লাহ ডাবলু বাদি হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। ডিবি পুলিশ রব্বানী মোল্যার পুত্র আসামী জামালকে গ্রেফতার করেছেন। সাতক্ষীরা ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাটি কাটাস্থান পরিদর্শনহলতেপোতা হরিহরনগর রাস্তার গাছ ও মাটি কাটাস্থান পরিদর্শন ইউএলও’র

আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি হলদেপোতা টু হরিহরনগর রাস্তার পাশের মাটি কেটে গাছ বিনষ্টের অভিযোগ স্থান পরিদর্শন করেছেন ইউএলও দরগাহপুর।
সড়কটির পাশের ঘের মালিকরা সড়কের মাটি কেটে জমি ঘেরের মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়েছেন। মাটি কাটার ফলে সড়ক বিনষ্ট হচ্ছে এবং সড়কের পাশে থাকা বহু বড় বড় গাছ ঘেরের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে এবং সকল গাছ পড়ে যাওয়ার উপক্রম হচ্ছে। কোন কোন স্থানে গাছ ও গাছের বড় বড় ডাল কেটে আত্মসাৎ করা হয়েছে। এব্যাপারে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযোগ সরেজমিন পরিদর্শনের জন্য দরগাহপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল অধিকারীকে দায়িত্ব অর্পন করেন। ইউএলও শ্যামল অধিকারী ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শন শেষে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, নির্বিচারে গাছগুলোর ডালপালা কাটা হয়েছে এবং গাছের তলদেশ থেকে মাটি কেটে উপরে উঠিয়ে রেখেছে। এ ব্যাপারে আমি ইউএনও স্যারকে অবহিত করেছি।

ত্রাণ বিতরণশ্রীউলায় অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ

আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নে অসহায় মানুষদের মাঝে সরকারি ভাবে প্রাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে ইউনিয়নের মহিষকুড় বাজারে এ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
করোনা ভাইরাসের কারনে কর্মহীন শ্রমজীবি মানুষ খাদ্য সংকটে ভুগছে। এসব মানুষকে সহায়তা করার জন্য সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক মহোদয় ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেন। ডিসি এসএম মোস্তফা কামাল ও ইউএনও মীর আলিফ রেজার নির্দেশনা মোতাবেক শ্রীউলায় ইউনিয়ন পরিষদের মহিষকুড় বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয় হতে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ১৫০ পরিবারের প্রত্যেকেকে ১০ কেজি চাউল এবং ১০০ টাকা করে প্রদান করেন শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা সাকিল।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স