আনুলিয়ায় এমপি রুহুল হকের পক্ষে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও অন্যান্য সংবাদ

প্রকাশিত: ১০:৩৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২০ | আপডেট: ১০:৩৬:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২০

আনুলিয়ায় এমপি রুহুল হকের পক্ষে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপির পক্ষে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে ইউনিয়নের ২৫০ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন, এমপি প্রতিনিধি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিত মন্ডল। এসময় ত্রাণ নিতে আগত অসহায় মানুষের উদ্দেশ্যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক ডাঃ রুহুল হক এমপি। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় দেশবাসীকে সচেতন করার লক্ষ্যে আমরা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছি। সকলকে নিজ নিজ ঘরে থেকে ঘনঘন সাবান পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অন্যান্য নির্দেশনা মেনে চলার মাধ্যমে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা বাঁচতে সকলকে আহবান জানান। তিনি সকলকে বাড়িতে থাকতে অনুরোধ করেন এবং সরকার সকলকে সহায়তা প্রদান করে যাবে বলে আশ^াস প্রতদান করেন। প্রত্যেককে চাউল, ডাউল, লবণ, আলু, পেঁয়াজ, তেল ও সাবান প্রদান করা হয়। এসময় আনুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি ঢালী সামছুল আলম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এসএম সাহেব আলী, আওয়ামীলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান, মৃনাল সরকার, শ্রমিকলীগ দপ্তর সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, ইউপি সদস্যবৃন্দসহ জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আশাশুনিতে ইউএনও’র বাজার মনিটরিং

আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা উপজেলার বিভিন্ন বাজার মনিটরিং করেছেন। রবিবার বিকাল থেকে রাতাবধি এ মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালন ও সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রমের অংশ হিসাবে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা মনিটরিং কার্যক্রম ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। চাপড়া, বুধহাটা, বেউলা গাজীরহাট ও পাইথালী বাজার মনিটরিং করা হয়। এসময় বিকাল ৬ টার পর থেকে কেবলমাত্র ঔষধের দোকান ব্যতীত কোন দোকান পাট খোলা আছে কিনা, মানুষ বাড়ি থেকে অহেতুক বের হচ্ছে কিনা এবং সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি কঠোর ভাবে বাস্তবায়নে কাজ করেন। হাট-বাজার ও রাস্তাঘাটে না থেকে সকলকে দ্রুত বাড়িতে যাওয়া ও দোকান পাট বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। বেউলা গাজীরহাটে মুদি ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন নির্দেশ অমান্য করে দোকান খুলে রাখায় তাকে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

আশাশুনিতে প্রশাসনের ত্রাণ বিতরণ

আশাশুনি সদর ও বুধহাটায় অসহায় মানুষের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার বিকালে উপজেলা প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
আশাশুনি সদরে মানিকখালী গ্রামে ও বুধহাটা ইউনিয়নের চাপড়া গ্রামে করোনা ভাইরাসের কারনে বাড়িতে থাকা অসহায় পরিবারের মাঝে জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রেরিত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। প্রতি প্যাকেটে চাউল ১০ কেজি, ডাল আধা কেজি, আলু ৩ কেজি, লবণ আধা কেজি ও তেল আধা কেজি রয়েছে। এসময় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ খানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতাপনগরে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভাপ্রতাপনগরে ত্রাণ বিতরণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা

আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এসভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপির পক্ষে, ইউনিয়নে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে আত্মরক্ষার্থে গৃহেথাকা অসহায় মানুষকে সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন, ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন। সভায় এমপি প্রতিনিধি ও উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শম্ভুজিৎ মন্ডল, উপজেলা শ্রমিকলীগ সভাপতি ঢালী সামছুল আলম, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি এসএম সাহেব আলী, ইউনিয়ন আ’লীগ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ইউপি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ওসি আবদুস সালামআশাশুনিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ বিতরণ করলেন ওসি আবদুস সালাম

আশাশুনি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ সমগ্রী বিতরণ করলেন, আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুস সালাম। শনিবার রাতে তিনি ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী সাধারণ মানুষ কর্মস্থল ছেড়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করছেন। এদের মধ্যে নি¤œ আয়ের মানুষের বাড়িতে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এসব অসহায় মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ওসি আবদুস সালাম তাদের মাঝে ত্রাণ সমগ্রী বিতরণ করেন। এসময় এসআই হাসানুজ্জামানসহ অন্য অফিসারবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

কুল্যার মহিষাডাঙ্গাকুল্যার মহিষাডাঙ্গা বাজারে বন্দ হয়নি সাপ্তাহিক হাট

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
করোনা ভাইরাস বিস্তার প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল জেলার সকল সাপ্তাহিক হাট বসা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু প্রশাসনের কঠোর নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে মহিষাডাঙ্গা বাজারে নিয়মিত বসছে সাপ্তাহিক হাট। এরই ধারাবাহিকতায় রবিবার (৫ এপ্রিল) বিকালে শত শত মানুষের সমাগমের মধ্য দিয়ে বসেছিল এই হাট। আশাশুনি ও তালা উপজেলার অসংখ্য মানুষ হাটে গিয়ে সামাজিক নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার কথা বেমালুম ভুলে গিয়ে চালিয়েছেন কেনা কাটা। ফলে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতা নিয়ে এলাকার মানুষ রীতিমত শংকিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতি ও রবিবার মহিষাডাঙ্গা বাজারে সাপ্তাহিক হাট বসে থাকে। বাজারটিতে কুল্যা ইউনিয়নের মহিষাডাঙ্গা, মহাজনপুর, দাঁদপুর, আগরদাড়ী, মাদারবাড়িয়া ও তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের মেষারডাঙ্গা, কুলপোতা গ্রামের শত শত মানুষের সমাগম হয়ে থাকে বলে জানান তারা। এব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছেন সচেতন মহল।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক