চুকনগরে স্বামী থাকতেও দীর্ঘ ৮বছর ধরে বিধবা ভাতা পাচ্ছে মহিলা

প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১ | আপডেট: ১১:৪০:পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১

চুকনগরে স্বামী জীবিত থাকতেও দীর্ঘ ৮বছর ধরে বিধবা ভাতা পাচ্ছে এক মহিলা। স্বামী থাকতেও বিধাব ভাতা,এটা কিভাবে সম্ভব। এ রকম চাঞ্চল্যকর তথ্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এক হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

ভাতা পরিশোধ বহি সূত্রে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের ৯নং কুলবাড়িয়া ওয়ার্ডের মঠবাড়িয়া গ্রামের মৃত তৃষার কান্তি মন্ডলের স্ত্রী গীতা রানী মন্ডল নামে এক মহিলা ২০১৩সাল হতে অদ্যাবধি বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা দুঃস্থ মহিলাদের ভাতার আওতায় বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছে। বইতে স্বামীকে মৃত লেখা হলেও আজও তিনি জীবিত আছেন বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়। যে বই দেখিয়ে তিনি ভাতা উত্তোলন করেন তা নং হল ৯৯২। বইতে আরো লেখা আছে মৃত ইসলাম উদ্দীন শেখের স্ত্রী রাশিদা বেগমের পরিবর্তে উক্ত মহিলাকে ভাতা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সাবেক চেয়ারম্যান মেম্বরদের সাথে কথা বলা হলে এটা কিভাবে সম্ভব হল তা তারা জানেন না।

জানা যায়, ২০১৩সালে আটলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন শেখ মোঃ বদরুজ্জামান তসলিম, ইউপি সদস্য ছিলেন আব্দুল হালিম মুন্না ও সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ছিলেন হাসিনা বেগম। এব্যাপারে গীতা রানী মন্ডল বলেন, সে সময় অভাব অনটনের কারনে আমরা আবেদন করেছিলাম। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমাকে ভাতা দেয়া হয়। ৯নং কুলবাড়িয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম মুন্না এব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বদরুজ্জামান তসলিম বলেন, সে সময় আমি চেয়ারম্যান ছিলাম ঠিকই। কিন্তু আমার মেয়ে মারা যাওয়ার কারণে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলাম। এসময় মেম্বররা কিভাবে কি করেছে সেটা আমার মনে নেই। ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ কুমার রায় বলেন, বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি এবং আবেদনের মাধ্যমে বইটি বাতিলের ব্যবস্থা করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা