চুকনগরে ইটভাটা জবর দখলের পর মালিককে প্রাণনাশের হুমকী প্রকাশিত: ২:৪৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০ | আপডেট: ২:৪৪:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০ ডুমুরিয়া উপজেলার কুলবাড়িয়া এলাকায় মোঃ সিরাজ খানের এসকেবি ব্রিকস নামের ইটভাটাটি জবর দখল করে ভূমিদস্যূরা। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের একাধিক তদন্তে এটি প্রমানিত হয়। পরে আর্থিক ক্ষতিপুরণসহ ইটভাটাটি প্রকৃত মালিককে বুঝিয়ে দেবার নির্দেশ দেয় জেলা প্রশাসন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভূমিদস্যুরা নানাভাবে জীবননাশের হুমকী দিচ্ছেন সিরাজ খানকে। একাধিকবার থানায় অভিযোগ করতে যেয়েও সন্ত্রাসীদের বাঁধার সম্মুখীন হয়েছেন বলে অভিযোগ তার। এ অবস্থায় জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি। সূত্র মতে, ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়ায় মোঃ সিরাজ খানের ক্রয়কৃত এসকেবি ব্রিকসটি জবর দখল করে নেন খালিশপুরের বাসিন্দা মৃত আব্দুর রশিদ মিয়ার পুত্র আব্দুল হাই বাহার। ইট ভাটা ফিরে পেতে ৫ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ (যার নং-৪৭৭)করেন। এর প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জিয়াউর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটিকে তদন্তভার দেন জেলা প্রশাসক। গত ৫ মার্চ উভয় পক্ষের শুনানী গ্রহণ ও গোপন তদন্তের পর জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন তিনি। গত ২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক (০৫.৪৪.৪৭০০.২২.০০১.০০৩.২০-৭৬৩নং স্মারকে) তদন্ত প্রতিবেদনের সিন্ধান্ত বাস্তবায়নে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ শাহানাজ বেগম উভয় পক্ষকে ১৪ সেপ্টেম্বর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য (০৫.৪৪.৪৭৩০.০০১.০৫.০১৩.২০নং স্মারকে) নির্দেশ দেন। তাতে বলা হয়, বিরোধীয় ইটভাটার মালিক মোঃ সিরাজ খান এবং তার স্থাপনা রয়েছে। তার মতে ভাটায় ৭লক্ষ ইট পোড়ানো ছিল। প্রকৃত পক্ষে সেখানে কি পরিমান ইট ছিল তা উদঘাটন করে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে তার যথাযথ ক্ষতিপূরণ ভাটার বর্তমান দখলদার আব্দুল হাই বাহারের নিকট থেকে আদায় পূর্বক ক্ষতিগ্রস্থকে পরিশোধ করতে হবে। একই সাথে দ্রুত ভাটার বিষয়ে সুষ্টু সমাধান করা হবে। ভাটায় ইট পোড়ানোর লাইসেন্স না থাকায় ভাটার স্থাপনা ও ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৩(সংশোধিত-২০১৯) অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে উপজেলা প্রশাসন। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহানাজ বেগম বলেন, উভয় পক্ষ সমঝোতায় না এলে কঠোরভাবে জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। ক্ষতিগ্রস্থ মোঃ সিরাজ খান রুপসা উপজেলার শোলপুর গ্রামের আলী আকবর খানে পুত্র। তিনি বলেন, পেশী শক্তির জোরে আমার ইট ভাটা জবর দখল করে নেয় ঐ ভুমিদস্যু। জেলা প্রশাসনের হস্থক্ষেপে যখন সেটি ফিরে পাচ্ছি। তখনই নানাভাবে আমাকে জীবননাশের হুমকী দিচ্ছে। একাধিকবার থানায় অভিযোগ করতে যেয়েও করতে পারিনি। সর্বত্র তার পোষ্য সন্ত্রাসীরা রয়েছে। আমি জীবনের নিরাপত্তা চাই। সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৩৫ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন চুকনগরে চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা চুকনগরে ইঞ্জিন ভ্যান চালাতে গিয়ে ৬ বছরের শিশুর করুন মৃত্যু