চুকনগরে অব্দার জমির মাটি কেটে বিক্রয়ের অভিযোগ কেশবপুরের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৯ | আপডেট: ৪:৪০:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২০, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, চুকনগর(খুলনা):
চুকনগরে অব্দার জমির মাটি কেটে বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে কেশবপুর উপজেলার এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি না নিয়েই তিনি বরাতিয়া গ্রামের ভদ্রা নদীর তেলিগাতী গেটের পাশে স্কেভেটর লাগিয়ে অব্দার ভরাট করা জমির মাটি ১৫/২০হাত গভীর করে কেটে চড়া দামে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রয় করছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার ভরত-ভায়না গ্রামের হায়দার আলী দফাদারের পুত্র আজিজুর রহমান দফাদার নামে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি কেশবপুর উপজেলা হতে ডুমুরিয়া উপজেলায় প্রবেশ করে কর্তৃপক্ষের কোন অনুমতি ছাড়াই বরাতিয়া গ্রামের ভদ্রা নদীর তেলিগাতী গেটের পাশে অবস্থিত অব্দার জমির মাটি স্কেভেটর দিয়ে কাটছে। প্রায় ১৫/২০হাত গভীর করে তিনি মাটি কাটছেন। তিনি এভাবে শুধু মাটি কেটেই ক্ষান্ত হয়নি। বরং সরকারের জমির সেই মাটি চড়া দামে বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রয় করছে। এতে করে প্রথমত ভদ্রা নদীটি ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। দ্বিতীয়ত জোয়ারের সময় বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে কুলবাড়িয়া, বরাতিয়া ও মঠবাড়িয়া গ্রামসহ কয়েকটি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। এছাড়া গ্রামবাসীর চলাচলের জন ব্যবহৃত অব্দার রাস্তাটি যে কোন সময় ভেঙ্গে নদীতে পড়ার আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এলাকাবাসীর প্রশ্ন কোন শক্তির জোরে কেশবপুর উপজেলা হতে ডুমুরিয়া উপজেলায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে কিভাবে সরকারের জমির মাটি কেটে বিক্রয় করছে। তাই এলাকাবাসীর দাবি অনতিবিলম্বে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হোক। এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহানাজ বেগম বলেন, সরকারী জমির মাটি কাটার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। ১/২দিনের মধ্যেই উক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/গাজী আব্দুল কুদ্দুস/চুকনগর


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক