কেশবপুরে বারী সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২০ | আপডেট: ৩:৩২:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২০

যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিস্তৃত ফসলে মাঠ জুড়ে হলুদের সমারহ। নৈস্বর্গিক রুপের আবহাওয়ায় দিগন্ত ছুয়েছে। হেমন্তের সকালে হালকা কুঁয়াশার চাঁদরে মোড়ানো সোনালী রোদের উঞ্চতায় মৌমাছিরা মধু আহরনে গুনজন তুলেছে সরিষা ক্ষেতে। সরিষা ফুলের গন্ধে বিভোর সারা মাঠ। কেশবপুরে বিস্তৃত মাঠ জুড়ে বারী সরিষা চাষের উৎসবে মেতেছেন কৃষকেরা। তার পরও অর্জিত হচ্ছে না সরকারি ভাবে নেওয়া সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত না হলেও কৃষকের মাঠে আগাম জাতের বারী সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখা দিয়েছে। কেশবপুরের কৃষকেরা বোরো আবাদের আগে একই জমিতে আগাম বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের সরিষা চাষ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আর সরিষার বাম্পার ফলন ঘরে তোলার সাথে সাথে কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি অধিক ফলনশীল বারী-১৪ ও বারী-৯ জাতের এই সরিষা চাষ করে কৃষকেরা বোরো আবাদের খরচ উঠিয়ে নেয়। এ বছর নতুন করে বারী-৭, বারী-৯,বারী-১৫, বারী-১৭ ও বারী- ১৮ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ শুরু করেছে। এ সব জাতের সরিষা ৭০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে কৃষকেরা ঘরে তুলতে পারে। যার ফলে কৃষকেরা সরিষা চাষের পরে খুব সহজে বোরো আবাদ করতে পারে। যে কারণে উপজেলাব্যাপী কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুকছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও তারা আগাম সরিষা চাষ শুরু করেছেন।

উপজেলার বাগদহা গ্রামের কৃষক আবদুল জলিল মোড়ল, হাবিবুর রহমান হবি, আবদুস সামাদ মোড়ল, মজিদপুর গ্রামের কৃষক আজাহারুল ইসলাম, আবদুস সাত্তার, দেউলি গ্রামের কৃষক রেজাউল ইসলাম, শফিকুল ইসলামসহ একাধিক কৃষকরা বলেন, প্রতি বছর সরিষার চাষ করা হয়। সরিষা চাষে অনেক লাভোবান হন তারা। ইরি বোরো মৌসুমের আগেই সরিষা তুলে সেই জমিতে ধানের আবাদ করে থাকেন কৃষকরা। তবে চলতি বছরে সরিষা চাষে বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবদ ব্যক্ত করেন তারা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাদেব চন্দ্র সানা বলেন, সরিষা চাষে চলতি বছরে ১ হাজার হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এখনও পর্যন্ত মাত্র ৬৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ অর্জিত হয়েছে। তবে আরো কিছু বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ অনেকে কৃষকরা নাবিতে আবাদ শুরু করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর