কেশবপুরে শহরের মানুষ আংশিক সহায়তা পেলেও বঞ্চিত গ্রামাঞ্চল: বরাদ্দ অপ্রতুল

ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের প্রভাবে যশোরের কেশবপুরের নিম্ন আয়ের মানুষ, ভ্যান চালক, ইজি বাইক চালক ,সেলুন, চায়ের ষ্টল, সহ সাধারণ মানুষের গৃহবন্দি দশায় ব্যাপক খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। সে সাথে সমান তালে অভাব অনটনের মুখোমুখি মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষ। সরকারি সহায়তা মিলেছে পৌর শহরে ও উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে হাতির মুখে দূর্বাঘাস এর সামিল। ব্যক্তি উদ্যোগে কিছু অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ,কেশবপুর পৌর সভার হাতে গোনা কয়েকশ পরিবার এর ভিতর। সরকারের ঘোষনা মোতাবেক শ্রমিক শ্রেনীর কারো কপালে খাদ্য সহায়তা মেলেনি। চলছে সমান তালে চেয়ারম্যান মেম্বারদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার তালিকা।

ভরা ধান কাঁটা মৌসুমে কৃষকরা পড়েছেন মহা দু:শ্চিন্তায়। ধান কাটার কাঁচি তৈরী করতে পারছেন না তারা। গ্রামাঞ্চলের কর্মকার সম্প্রদায়ের দোকান খুলতে না পারায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান, সহকারি কমিশনার (ভুমি) ইরুফা সুলতানা, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জসিম উদ্দিন সহ সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিন রাত পরিশ্রম করে কেশবপুরের মানুষের সামাজিক দরুত্বে চলাফেরার কাজটি সফলতার সাথে করতে পারলেও মানুষের খাদ্য সহায়তা নামমাত্র বিতরণ করা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার স্বার্থে এক জন চেয়ারম্যান জানান, করোনা শুরুর পর থেকে তার ইউনিয়নে সরকারি ভাবে তিন দফায় ৫৩০ জনের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আর নুতন করে প্রতি ইউনিয়নে ১শ পরিবারের মাঝে দলীয় ভাবে খাদ্য সহায়তা পাঠানো হয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৬০ মেট্রিক টন জি আর চাল ও নগদ ২লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ মিলেছে। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। এ বরাদ্দ কেশবপুর পৌরসভারসহ উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের জন্য। সরকারি সহায়তা অপ্রতুল হওয়ায় গ্রামাঞ্চলে হাহাকার বিরাজ করছে। ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সামর্থ অনুযায়ি।
লাখো মানুষের খাদ্যাভাব পুরণ করা কষ্ট সাদ্য। অপর দিকে চেয়ারম্যান মেম্বার দের মাধ্যমে তালিকা প্রণয়ন করা হলেও সরকারি বরাদ্দ না থাকায় মানুষের দূর্দশা কমছে না। বাস শ্রমিক, মাইক্রো প্রাইভেট কার চালক, ভ্যান শ্রমিক, ইজিবাইক চালক, সেলুন, চায়ের ষ্টল ও হোটেল রেষ্টুরেন্টে কাজ করা শ্রমিকরা অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে। সরকারের ঘোষণা মেনে নিয়ে তারা তাদেও কার্যক্রম বন্ধ করলেও তাদের জঠর জ্বালা নিবারণ হচ্ছে না। ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার, পৌরসভার মেয়র, ব্যবসায়ী ওয়াহিদুজ্জামান, সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত, এ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেনসহ কয়েকজন ব্যক্তি দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করলেও প্রয়োজন মিটেনি।
এ ছাড়া পৌর সভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে তাও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। দুর্দশায় থাকা মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রদানে দীর্ঘ সুত্রতায় মানুষের দিনাতিপাত দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ৩ দফায় ৫শ ৩০ জন খাদ্য সহায়তার আওতায় এসেছে। যা বিলি করতে চেয়ারম্যান মেম্বারদের গলদঘর্ম অবস্থা । কেশবপুরের দূর্দশা গ্রস্থ মানুষের মাঝে দ্রুত খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।