সোনালী স্বপ্ন দেখছেন রাজগঞ্জের পাট চাষিরা

প্রকাশিত: ৭:৩৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২০ | আপডেট: ৭:৩৬:অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২০

পাট একটি বর্ষাকালীন ফসল। বাংলাদেশে পাটকে সোনালী আঁশ বলা হয়ে থাকে এবং পাটই বাংলাদেশের শত বর্ষের ঐতিহ্য বহন করে আসছে যুগ যুগ ধরে। বিগত বছর গুলোতে কৃষকরা পাট চাষে তেমন একটা সফলতা না পেলেও চলতি পাট চাষ মওসুমে মণিরামপুরের রাজগঞ্জ অঞ্চলে পাট চাষে ভালো ফলনের স্বপ্ন দেখছে পাট চাষিরা। আর এ জন্য উপজেলা কৃষি বিভাগের সমন্বয়ে কৃষকরা নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়নের হানুয়ার গ্রামের কয়েকজন চাষির সাথে কথা হয়, তারা বলেন, আমাদের এখানে প্রত্যোন্ত মাঠে ও বিল অঞ্চলে পাট চাষ হয়ে থাকে। টানা কয়েক বারে বৃষ্টির কারণে আমাদের পাট ক্ষেত নষ্ট হয়ে গিয়েছিলো। এবারো পাট চাষ করেছি। আশা করছি এবার পাট চাষে অনেকটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো। তারা আরো বলেন- পাট চাষে প্রতি বিঘায় খরচ হয় সব মিলিয়ে প্রায় ১২ হাজার টাকা।

 

আর এখন দামও আগের থেকে ভালো। পাটের বাজারে চাহিদা থাকলে এবং ভালো দাম পেলে আমাদের সোনালী স্বপ্ন পূরণ হবে। এছাড়া উপজেলা কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের পাট চিষের উপর ভালো ও গুনগত মান বৃদ্ধির জন্য প্রতিনিয়ত কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, এবার এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬ শত হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। কিন্তু চাষ হয়েছে মোট ৪ হাজার ৮ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চলতি মওসুমে ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ বেশি হয়েছে। পাটের মান ভালো হলে, দামও বেশি পাওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি। 

 

আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। নিজস্ব প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর