রাজগঞ্জে আমের মুকুল দেখে কৃষকের মনে আনন্দ, বাম্পার ফলনের আশা

প্রকাশিত: ১১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১ | আপডেট: ১১:৪৫:পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে আমের মুকুল দেখায় কৃষকের মন্টা আনন্দে ভরে যাচ্ছে। মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন আম চাষীরা। রাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় এখন শোভা পাচ্ছে আগাম আমের মুকুল। সেই মুকুলের পরিমাণ কম হলেও এর সৌরভ ছড়িয়ে পড়ছে বাতাসে। যেসব গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে, তার মালিকরা পরিচর্যা শুরু করেছেন। বহু আম চাষীরা মুকুলের পরিচর্যা করতে ব্যাস্ত। অনুরূপ ভাবে উপজেলাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন এলাকার গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। এসময় আমের মুকুলের ঘ্রাণে মৌমাছিদের আনাগোনা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুকরের মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় তাই চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। শীতে স্নিগ্ধতার মধ্যেই শোভা ছড়াচ্ছে আম গাছের স্বর্ণালী মুকুল। রাজগঞ্জ এলাকার আম গাছের মালিকরা জানান, গাছে আমের মুকুল দেখা মেলায় মন্টা আনন্দে ভরে যাচ্ছে। তবে এ মুকুল টিকে থাকলে এবার বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। তবে ঘন কুয়াশা দেখা দিলে আমের মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। চালুয়াহাটি ইউনিয়ন উপসহকারি কৃষি অফিসার মারুফুল হক বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগেই আবহাওয়াগত ও জাতের কারণেই মূলত আমের মুকুল আসতে শুরু করেছে। প্রতি বছরই কিছু আমগাছে আগাম মুকুল আসে। এবারও আসতে শুরু করেছে। ঘন কুয়াশার কবলে না পড়লে এসব গাছে আগাম ফলন পাওয়া যাবে। আর আবহাওয়া বৈরী হলে ফলন মেলে না।

তিনি আরও বলেন, বেশ কিছু এলাকার গাছে গাছে ফুটছে ফুল, আগাম মুকুলে মুকুলে ছেয়ে গেছে পুরো আমের বাগান। মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত তদারকি করছি। আম চাষিদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। এবং উপযুক্ত পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করার লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুত আছি।


আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর