মুজিব বর্ষে রাজগঞ্জকে উপজেলা ঘোষণার দাবি

প্রকাশিত: ১১:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২০ | আপডেট: ১১:০৩:অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০২০

উত্তম চক্রবর্তী, মণিরামপুর(যশোর): যশোরের রাজগঞ্জকে উপজেলা ঘোষণার দাবিতে স্বোচ্ছার পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জ অঞ্চলের মানুষ৷ দীর্ঘদিনের প্রাণের এ দাবি নিয়ে আন্দোলন, সংগ্রাম, মিটিং, মিছিল ও মানববন্ধন চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে৷
মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে রাজগঞ্জকে উপজেলা ঘোষণা করবেন এ দাবি পুরনের অধীর আগ্রহে আছেন রাজগঞ্জ উপজেলা তথা এ অঞ্চলের ঝাঁপা, চালুয়াহাটী, মশ্বিমনগর, হরিহরনগর, রোহিতা, কাশিমনগর ও খেদাপাড়া এই ৭টি ইউনিয়নবাসি৷ 
রাজগঞ্জবাসী দীর্ঘদিনের প্রাণের এ দাবি পুরনের লক্ষ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেছে৷

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

বিগত ২৮ ডিসেম্বর-১৯ রাজগঞ্জ বাজারে বঙ্গবন্ধু ম্যুারাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক এমপি তাঁর বক্তব্যের মাঝে রাজগঞ্জবাসীকে আশ্বস্থ করেছিলেন রাজগঞ্জবাসীর প্রাণের দাবী মুজিব বর্ষে পুরন হবে৷ 
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবিকৃত উল্লেখিত ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত রাজগঞ্জ উপজেলার আয়তন ৫২ হাজার ২শ’ ৪৭ একর বা ৪শ’ ৪৮ বর্গকিলোমিটার, মৌজা সংখ্যা ১শ’ ১৬টি, গ্রামের সংখ্যা ১শ’ ১৬টি, লোক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ, এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার, সরকারি প্রাথমিক সংখ্যা প্রায় ১শ’ ১৬টি, সিনিয়র দাখিল ও আলীম সহ এবতেদায়ী মাদরাসা রয়েছে প্রায় ৭০টি, ফাজিল মাদসারা ৫টি, উপ-আনুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে প্রায় ৭৫টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ৪৬টি, কলেজ রয়েছে ৭টি, রয়েছে সরকারি বেসরকারি ব্যাংক, টেলিফোন এক্সচেঞ্জ, খাদ্যগুদাম, পোস্ট অফিস, পশুপ্রজনন কেন্দ্র, উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ভূমি অফিস, প্রায় ৫০টি এনজিও অফিস, পাবলিক লাইব্রেরী, সাংস্কৃতিক চর্চাকেন্দ্র, পি এস সি, জে এস সি, এস এস সি, এইচ এস সি, জে ডি সি, দাখিল, আলীম ও ফাযিল পরীক্ষা কেন্দ্র, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, অসংখ্যা মসজিদ, মন্দির, প্রায় ৬০টি সুপার মার্কেট ও প্রায় ১৫শ’ ছোট বড় মিলিয়ে দোকান রয়েছে৷ যোগাযোগের ক্ষেত্রে লক্ষ্যনীয় যে ৭টি সড়কে পরিবহনসহ ছোট বড় বাস চলাচল করছে৷ রাজগঞ্জের ঝাঁপা বাঁওড়ের উপর ঝাঁপা উন্নয়ন ফান্ডেশনের নিজস্ব উদ্যোগে প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয়েছে এক কিলোমিটার লম্বা, ১২ ফুট চওড়া ২টি ভাসমান সেতু৷ রাজগঞ্জ এলাকার মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা ও যানমাল নিরাপত্তার জন্য প্রথমে রাজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করা হয়৷ তারপর বর্তমান সরকার ১৯৯৭ সালে মণিরামপুর উপজেলার পরিধির বিস্তৃতি এবং পশ্চিম মণিরামপুরের রাজগঞ্জের গুরুত্ব ও অবস্থান বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজগঞ্জ অঞ্চলের উল্লেখিত ৭টি ইউনিয়নকে নিয়ে একটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের প্রজ্ঞাপন জারি করেন৷ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ মোতাবেক প্রস্তাবিত রাজগঞ্জ থানা ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হয় ২০১৪ সালে৷ সেখানে বর্তমানে কার্যক্রম চলমান রয়েছে৷ এখন শুধু পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জবাসি পূর্ণাঙ্গ উপজেলা ঘোষনা শোনার অপেক্ষায় আছেন৷ রাজগঞ্জকে উপজেলা ঘোষনা করলে এটাই বর্তমান সরকারের বড় সাফল্য বলে মনে করবেন রাজগঞ্জবাসি৷

সূত্র মতে, ১৯৫৪ সাল থেকে পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জবাসি ৭টি ইউনিয়ন নিয়ে রাজগঞ্জ উপজেলা বাস্তবায়ন করে আসছেন৷ রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রয়াত শরৎচন্দ্র মজুমদার তৎকালিন যুক্তফ্রন্ট সরকারের মৎস্য ও আবগারি মন্ত্রী হিসেবে ১৯৫৬ সালে রাজগঞ্জ পরিদর্শনে আসলে স্থানীয় হাজার হাজার মানুষ প্রথমে মন্ত্রীর কাছে রাজগঞ্জকে থানা করার দাবি করেন৷ সেই থেকে রাজগঞ্জবাসি তাদের প্রাণের এ দাবি আদায়ের জন্য সোচ্চার রয়েছে৷
মুজিব বর্ষে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখ থেকে রাজগঞ্জ উপজেলা ঘোষনার কথা শোনার অধীর অাগ্রহে রছেয়ে অবহেলিত পশ্চিম মণিরামপুর তথা রাজগঞ্জবাসি৷

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক