মণিরামপুরের সেই স্বাস্থ্যকর্মী এখনো পজেটিভ: শ্যালকও আক্রান্ত

প্রকাশিত: ৪:৫৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০ | আপডেট: ৯:০২:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০

যশোরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় মণিরামপুরের যে স্বাস্থ্যকর্মীর, তিনি এখনো এই মারণব্যাধির জীবাণু বহন করছেন। দ্বিতীয় নমুনা পরীক্ষায়ও তার শরীরে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। শুধু তা-ই নয়, ওই ব্যক্তির একমাত্র শ্যালকও এখন করোনা পজেটিভ।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার থেকে যশোরের যে দুটি নমুনা পজেটিভ বলে শনাক্ত করা হয়, তা মণিরামপুরের ওই শ্যালক-ভগ্নিপতির। যশোরের সিভিল সার্জন এই বিষয়ে সুবর্ণভূমির প্রশ্ন এড়িয়ে গেলেও তথ্যের নির্ভুলতা নিশ্চিত করেছেন মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীনের ভাষ্য, দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হয়ে আমি তো পুরো নিশ্চিত না হয়ে কোনো তথ্য দিতে পারি না। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেন, পরীক্ষার ফলাফল তারা সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনকে দিয়ে দেন। ফলে কোন নমুনা কোন ব্যক্তির সিভিল সার্জনই তা সবচেয়ে ভালো জানেন। সিভিল সার্জনের দপ্তরের মাধ্যমেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে নমুনা যায়।
তথ্য হাতের কাছে থাকলেও সিভিল সার্জন দুপুর পর্যন্ত সংবাদকর্মীদের ফোন রিসিভ করছিলেন না। একপর্যায়ে তিনি ফোন রিসিভ করেন, তবে কোনো তথ্য দেননি। সিভিল সার্জনের এই অসহযোগিতায় যশোরের সংবাদকর্মীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ বলেন, বুধবার (২২ এপ্রিল) সকালে ওই স্বাস্থ্যকর্মীর শরীর থেকে দ্বিতীয় বারের মতো নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইসঙ্গে তার শ্বশুর, শাশুড়ি, নানিশাশুড়ি ও শ্যালকের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। তারমধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী ও তার শ্যালকের ফলাফল পজেটিভ এসেছে। বাকি তিনজনের ফলাফল নেগেটিভ।

ডা. শুভ্রা আরো বলেন, ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে কেশবপুরের ইমাননগরে তার শ্বশুরবাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার শ্যালককে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রাখা হবে। তাকে আনতে অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল স্বাস্থ্যকর্মী রবিউলের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তারপর থেকে কেশবপুরে শ্বশুরবাড়িতে রেখে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তিনি এখনো সেখানে রয়েছেন। এর আগে তিনি ‘ভালো আছেন’ বলে নিজের ফেসবুক ওয়ালে স্ট্যাটাস দিয়ে সবার কাছে দোয়া চেয়েছিলেন। আজ দ্বিতীয় ফলাফল পজেটিভ আসার পর তাকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি।


আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। নিজস্ব প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর