ফাগুনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে রাজগঞ্জে শিমুল ফুলের রঙ্গীন সোভা

প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০ | আপডেট: ৬:৫০:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০

উত্তম চক্রবর্তী, মণিরামপুর(যশোর): ঋতুরাজ বসন্তের গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে ফাগুনের গ্রাম বাংলার শিমুল ফুলের রঙ্গীন সোভার সমারোহ আর গাছে গাছে কোকিলের কূহু কূহু করতানে বিমোহীত কিশোরীর প্রান। নানা ছন্দে কবি সাহিত্যকদের লেখার খোরাক যোগাতো রক্ত লাল এই শিমুল ফুল। যশোরের রাজগঞ্জের গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল, ফুল আর পাখির কলতানে মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনি বার্তা। আম, লিচু লেব, সহ রকমারী ফুলে ফলে বৃক্ষরাজী সোভা বর্ধন করায় শীত বিদয় নিয়ে আবারো এলো ফাগুন। বসন্তের বাহারী ফুলের রঙ্গীন বাতায়নে বাতাসে সুগন্ধের ছোয়া দিয়ে যায়। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

তাই আর খুব একটা চোখে পড়েনা ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ। গ্রামে শিমুল গাছ ঔষধি গাছ হিসেবেও পরিচিত। গ্রামের মানুষ বিষ ফোড়া, আখের গুড় তৈরিতে শিমুলের রস ও কোষ্ঠ কাঠিণ্য নিরাময়ে গাছের মূলকে (শিকড়) ব্যবহার করতো। বর্তমানে নানা কারনে তা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। এখন আর শিমুল গাছ কেউ রোপণ করে না। শিমুল গাছ এমনিতেই জন্মায় তা দিনে দিনে বড় হয়ে একদিন বিশাল আকৃতি ধারন করে। তেমনি চোখে পড়ছে রাজগঞ্জ এলাকার রাস্তার ধারে ও গ্রামের বাড়ির আশে পাশে ফুটে আছে এই শিমুল ফুল। বসন্তের শিমুল গাছে রক্ত কবরী লাল রঙ্গে ফোটে তোলে, দৃষ্টি কেড়ে নেই সবার মন। কিছুদিন পরে রক্তলাল থেকে সাদা ধুসর হয়ে তুলার তৈরি হবে। গ্রাম বাংলার এই শিমুল গাছ অর্থনৈতিক সম্বৃদ্ধি এনে দিত। গ্রামের মানুষেরা এই শিমুলের তুলা কুড়িয়ে বিক্রি করতো। অনেকে নিজের গাছের তুলা দিয়ে বানাতো লেপ, তোষক, বালিশ। শিমুলের তুলা বিক্রি করে অনেকেই সাবলম্বী হয়েছে, এমন নজিরও আছে। কিন্তু কালের বিবর্তনে আর আধুনিকতার ছোঁয়ায় তেমন চোখে পড়ে না শিমুল গাছের। প্রতিনিয়ত বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে শিমুল গাছ। যার কারনে গ্রাম বাংলার বুক থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে, অতি চিরচেনা এই শিমুল গাছ।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক