প্রতারক সাহেদকে দেবহাটা সীমান্তে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে র‌্যাব

প্রকাশিত: ৯:০১ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২০ | আপডেট: ৯:০১:অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২০

বহুল আলেচিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান, প্রতারক সাহেদ করিমকে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্তে অভিযানে নিয়ে আসে র‌্যাব। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এসআই রেজাউল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৪ টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা নিরাপত্তাবেষ্টনির মধ্যদিয়ে একটি সিলভার রঙের মাইক্রোবাসযোগে তাকে খুলনা র‌্যাব-৬ এর কার্যালয় থেকে থেকে সাতক্ষীরায় নিয়ে আসা হয়। পরে দেবহাটার লাবর্নবর্তী ব্রীজ এলাকায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। মাইক্রোবাস থেকে প্রতারক সাহেদ করিমকে সেখানে গাড়ি থেকে নামানো হয়। প্রায় আধাঘন্টা তাকে নিয়ে ওই এলাকায় ঘুরাঘুরি করে র‌্যাব সদস্যরা।  

 

র‌্যাব সদস্যরা জানায়, গত (১৫ জুলাই) সাহেদ কমির দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুরস্থ লাবর্ণবর্তী খাল দিয়েই ভারতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছিল। লাবর্ণবতী ব্রীজের নীচ থেকে র‌্যাব সদস্যরা তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে র‌্যাব।   

 

পরে তাকে র‌্যাব হেড কোয়াটারে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনার দিন রাতেই প্রতারক সাহেদের নামে দেবহাটা থানায় অস্ত্র আইনে সাহেদ করিমকে প্রধান আসামী করে একটি মামলা করে র‌্যাব। র‌্যাবের উপ-সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

 

সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় দায়েরকৃত মামলায় গত ২৬ জুলাই ভার্চুয়াল আদালতে সাহেদ করিমের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে র‌্যাব। সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার রায় ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করে।

 

র‌্যাবের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এনিয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। তবে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, দেবহাটা থানায় দায়েরকৃত অস্ত্র  মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বৃহস্পতিবার বিকালে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তে প্রতারক সাহেদকে আনা হয়।  ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তাকে আবার খুলনা র‌্যাব-৬ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই রেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

 

এর আগে (১৫ জুলাই) বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তের লাবন্যবতী নদীর উপর নির্মিত ব্রেইলী ব্রীজ এর নীচ থেকে সাহেদকে বোরখা পরিহিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।  

 

ওই দিন রাতে র‌্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্টের ১৯- এ উপধারা এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় দেবহাটা থানায় একটি মামলা(৫নং) করেন। মামলায় সাহেদ করিমসহ তিনজনকে আসামী করা হয়।

 

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এসআই রেজাউল ইসলাম জানান, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে,তবে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা সমীচীন হবেনা।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স