ডুমুরিয়ায় প্রেমিকের অত্যাচারে মাদ্রাসা ছাত্রী আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০ | আপডেট: ৭:৩৪:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৯, ২০২০
বিউটি খাতুন জ্যোাতি। (ফাইল ছবি)

ডুমুরিয়ায় প্রেমিকাকে ঘরে তুলে না নেওয়ায় এবং প্রেমিক ও তার পরিবারের সদস্যদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে রাগে ও ক্ষোভের বশে বিউটি খাতুন জ্যোাতি নামে এ-বছর এসএসসি পরীক্ষায় এ-প্লাস পাওয়া এক মাদ্রাসার ছাত্রী আতœহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে। এঘটনায় মাদ্রাসা ছাত্রীর মাতা উপজেলার রানাই গ্রামের রশিদ গাজীর স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ৪জনকে আসামী করে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যার নং-১৬। এছাড়া আত্মহত্যার প্ররোচনাকারীদের নাম উল্লেখ করে জ্যোতির নিজের হাতে লেখা একটি চিরকুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

প্রাপ্ত মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, বাদীনির কন্যা রানাই মহিলা মাদ্রাসায় যাতায়াতের বিভিন্ন সময় একই গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা শায়নারা বেগমের মাদকাসক্ত ও বখাটে পুত্র শান্ত ভুইয়া তাকে উক্তাক্ত ও প্রেম নিবেদন করত।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমজ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সুবাদে গত ১২/০৩/২০২০ইং তারিখে শান্ত জ্যোতিকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার অনুরোধ করলে সে রাতের আধারে প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে তাদের বাড়িতে চলে যায়। এসময় প্রেমিক শান্তর মাতা শায়নারা বেগম তাদের এই দেখা সাক্ষাত হাতে নাতে ধরে ফেলে। এসময় তিনি তার ভাই সাব্বির হোসেন ডালিমের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে ঘরে ভিতরে প্রবেশ করে জ্যোতিকে পিটাতে থাকে। এক পর্যায়ে শায়নারা বেগম ও তার মাতা সবুরন বেগম তাকে পিটাতে পিটাতে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। আর এ সুযোগে শান্ত ও বাড়ি থেকে সরে পড়ে।

এরই জের ধরে গত ২৯/০৩/২০২০ইং তারিখ বিকালে মানষিক যন্ত্রনা, মারধর, বিভিন্ন সময়ে হত্যার হুমকী ও লোক লজ্জার ভয়ে সবার অগোচতে জ্যোতি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়। কিন্তু জ্যোতি মারা যাওয়ার পূর্বে তার ডাইরীতে চিরকুট লিখে গেছেন তার আত্মহত্যার কারণ, আত্মহত্যার পিছনে কারা দায়ী, তাকে হত্যার আসামী কাদেরকে করতে হবে। এব্যাপারে ৩নং আসামী সাব্বির হোসেন ডালিম তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা