ডুমুরিয়ার খর্ণিয়া ইউপি নির্বাচনে নারী উদ্যোক্তা আফরোজা খানম প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে

প্রকাশিত: ১০:২৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২১ | আপডেট: ১০:২৪:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১০, ২০২১
ছবি: নারী উদ্যোক্তা আফরোজা খানম

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ৪নং খর্ণিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী সফল নারী উদ্যোক্তা ও আ’লীগ নেত্রী আফরোজা খানম মিতা নৌকার দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসাবে প্রচার প্রচারণায় এগিয়ে রয়েছে। মাত্র ২মাসের প্রচার প্রচারণার শুরু থেকে সকল স্তরের জনগনের কাছ থেকে পাচ্ছেন ব্যাপক সমার্থন ও ভালবাসা। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেলে সাধারণ মানুষের জন্য নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন তিনি। দুই মাসের নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেই ইতিমধ্যে ইউনিয়নের ৯ ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় করতে সক্ষম হয়েছেন। একমাত্র নারী প্রার্থী হিসাবে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে প্রতিটা স্থানে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছেন তিনি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডুমুরিয়া উপজেলার অন্তর্ভূক্ত ৪নং খর্নিয়া ইউনিয়নটি শিক্ষা, সভ্যতা, সংস্কৃতি ও আধুনিকতার দিক দিয়ে এই অঞ্চলের মানুষ গুলো বরাবরই ভালো অবস্থানে রয়েছে। রাজনীতির পাশাপাশি এ-জনপদের মানুষ ব্যবসা বানিজ্যের ক্ষেত্রে রয়েছে এগিয়ে। রাজনীতির দিক দিয়েও এখানে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের শক্ত অবস্থান। এ অঞ্চলের মানুষের রাজনীতিতে রয়েছে ব্যাপক সক্রিয় ভূমিকা। সক্রিয় ভূমিকা থাকার কারণে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেও প্রতিযোগীতা। একারণে নির্বাচন এলেই বরাবরের মতো শুরু হয় মনোনয়ন যুদ্ধ। এরই ধারাবাহিকতায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে চুড়ান্ত পর্বের জন্য যুদ্ধে নেমেছেন সৎ ও কর্মী বান্ধব, উদর ও সাদা মনের মানুষ, মানবিক ও সামাজিক নিরপেক্ষতার সূত্রে গাঁথা একজন পরিশ্রমী ও সফল নারী উদ্যোক্তা আফরোজা খানম মিতা।

জানা যায়, জন্ম সূত্রে আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান রুপসা বঙ্গবন্ধু সরকারী ডিগ্রী কলেজে লেখাপড়া করা অবস্থায় ছাত্রলীগের মাধ্যমে তার রাজনৈতিক জীবনে হাতে খড়ি শুরু হয়। ২০০০সালে তিনি মোছাব্বরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর বিবাহের পর ২০০১সাল থেকে তিনি রাজনীতি আর নারী ভিত্তিক উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন। ২০০৮সালে খর্ণিয়া আইস ফ্যাক্টরীর মালিকানা হিসাবে সততার সহিত অদ্যবধি ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। ২০১০সালে তিনি রানাই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২০সালে উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে তিনি নারী উদ্যোক্তা হিসাবে উপজেলার “সেরা নারী উদ্যোক্তা” নির্বাচিত হন। নারী অধিকার সংগঠন রুপান্তরের অপরাজিতা সদস্যও তিনি। বর্তমানে তিনি খর্ণিয়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩য় বারের মত সভাপতি ও ইউনিয়ন আ’লীগের সম্মানিত সদস্য।

এছাড়া তিনি শিক্ষিত বেকার যুবকদের নিয়ে নিজ উদ্যোগে মৎস্য চাষ ও উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত আছেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সমাজে নারীদের সচেতন ও কুসংস্কার দূর করে ছেলেমেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে কাজ করে চলেছেন। একজন মানবিক, সামাজিক ও নিরপেক্ষতা নীতি নিয়ে চলার কারণে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪নং খর্নিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে তাকে নিয়ে এলাকাবাসী আলোচনাসহ নড়েচড়ে বসেছেন। বিগত নির্বাচন গুলোতে যে সকল প্রার্থী জয়লাভ করেছেন তাদের মধ্যে কোন জনপ্রতিনিধি এলাকার জনগনের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। নির্বাচনের আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা পুরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এলাকাবাসীর অনাকাক্ষিত প্রত্যাশা পুরণ ও তাদের পাশে থেকে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে বলে এই অঙ্গীকারান্ধ হয়ে সকলকে সাথে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় মাঠে নেমেছেন।

 

প্রার্থিতা ঘোষণার মাত্র ২মাসেই ইউনিয়ন জুড়ে শুরু হয়েছে তাকে নিয়ে ভোট বিশ্লেষন। এ ইউনিয়নের প্রথম নারী প্রার্থী হওয়ায় পুরুষের পাশাপাশি বিশেষ করে নারী ভোটারদের মাঝে বেশ উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে তার শ্বশুর ডাঃ খোরশেদ আলম খর্ণিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রথম নির্বাচিত রিলিফ চেয়ারম্যান ছিলেন। তার স্বামী রবিউল ইসলাম রবি এক সময়ের তুখোড় যুবলীগ নেতা ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ৫বছর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের লাইসেন্স অফিসার হিসারে দায়িত্বে আছেন। গোটা পরিবারটি আ’লীগের সাথে সম্পৃক্ত ও সুশিক্ষিত পরিবার বলেই এলাকায় এবং ইউনিয়ন জুড়ে তাদের রয়েছে পরিচিত। প্রতিটা পাড়া মহল্লাবাসীর সাথে রয়েছে পারিবারিকভাবে আত্বীয়তার সম্পর্ক।

 

এই পরিবারটি আজীবন এলাকার গরীব, অসহায়, খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থেকে সাহায্যে সহযোগীতা করেছেন। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী হওয়ায় সর্বক্ষেত্রে রয়েছে ব্যাপক জনসমার্থন। এব্যাপারে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আফরোজা খানম মিতা বলেন, জন্ম সূত্রে তিনি ও তার পরিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আ’লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। একারনে জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারণ করে লেখাপড়ার পাশাপাশি রাজনীতিতে সবসময় একজন সাধারণ কর্মী হয়ে কাজ করেছেন জনকল্যানে। বাকী জীবন বঙ্গবন্ধু পরিবারের আদর্শ নারী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসাবে মানুষের জন্য কাজ করে যাবেন। আর এজন্যই ইউনিয়ন বাসীর ভালবাসা ও অনুরোধে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মাঠে নেমেছেন। রাতদিন পরিশ্রম করেও চলেছেন।

 

দলীয় মনোনয়ন ও সিন্ধান্তকে সম্মান করে আ’লীগের সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ এবং ডুমুরিয়ার মা মাটি মানুষের প্রিয় নেতা, সাবেক মন্ত্রী, শ্রদ্ধাভাজন নারায়ন চন্দ্র চন্দ এমপি স্যারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।

তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন আসন্ন ইউপি নির্বাচনে একজন নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে মাতৃতুল্য প্রধানমন্ত্রী তার হাতেই নৌকার দায়িত্ব অর্পন করবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা