ডিভোর্সের পর দেড়মাস ঘর সংসার: অতপর প্রেমিকের হাত ধরে এক সন্তানের জননী লাপাত্তা

প্রকাশিত: ২:২৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০ | আপডেট: ২:২৭:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২০

যশোরের মনিরামপুরের ঝাঁপার ইমদাদুল বনাম সাতক্ষীরার তালার ডাংগানলতার প্রতারক রেহেনা স্বামীকে ডিভোর্সের পর দেড়মাস ঘর সংসার। অতপর প্রেমিকের হাত ধরে লাপাত্তা এক সন্তানের জননী। মোবাইলে প্রেমের অভিনয় করে এক সন্তানের জননী কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রবাসি এক যুবকের কাছ থেকে। ওই জননী তার স্বামীর কাছ থেকে সকল অর্থ সম্পদ হাতিয়ে নিয়ে গোপনে স্বামীকে ডিভোর্স দেই দেড় মাস পূর্বে। সুচতুর এই নারী স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার পরও দেড়মাস ঐ স্বামীর সঙ্গে ঘর সংসার করেছে।
সম্পতি স্বামীর শেষ সম্বল নগত অর্থ স্বর্ণ অলংকার নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে আসার পর পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় প্রেমিক-প্রেমিকা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সরেজমিনে তদন্ত করে জানাযায়, কেশবপুর উপজেলার হিজলডাঙ্গা গ্রামের নিচার সরদারের ছেলে রেজাউল ইসলাম তালা উপজেলার ডাংগানলতা গ্রামে ১৫/১৬ বছর পূর্বে বিয়ে করে সুখে ঘর সংসার করে আসছিলো। এর মাঝে তাদের ঘরে একটা পুত্রসন্তানের জন্ম নেয়, বর্তমান ছেলেটি ৮ম শ্রেনীতে অধ্যায়নরত। এদিকে রিজাউল ও রেহেনা গত আট বছর পূর্বে ঢাকার এক গার্মেন্টসে চাকরি নেই।  এরই মাঝে মালয়েশিয়া প্রবাসী মনিরামপুর উপজেলার ঝাঁপা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার কশেম আলীর ছেলে ইমদাদুলের সাথে ফেসবুকে পরিচয় হয় রেহেনার।  দিনে দিনে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।  একপর্যায়ে ইমদাদুল গত দুই মাস পূর্বে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরে।  এক পর্যায়ে স্বামীকে রেখে রেহেনা ঢাকা ছেড়ে এক মাস পূর্বে স্বামীর বাড়িতে চলে আসে। এই সুযোগে প্রেমিক ইমদাদুল রেহেনাকে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়াই।  গত বিশদিন পূর্বে রেহেনা কে তার শশুর বাড়ি থেকে ভাগিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ইমদাদুল। রেহানার স্বামী বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ১৫/১৬ দিন পর যশোর নিউমার্কেট থেকে তার স্ত্রীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যায়।
কিন্তু স্বামী রেজাউল তার স্ত্রীকে ধরে রাখতে পারেনি। গত ১৯ এপ্রিল সকালে স্বামীর শেষ সম্বল গরু বিক্রির ও জমাকৃত নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে স্ত্রী রেহেনা প্রেমিক ইমদাদুলের হাত ধরে পালিয়ে এসে ঝাঁপা গ্রামের বাড়িতে ওঠে। স্বামী রেজাউল তার স্ত্রীকে বাড়িতে না পেয়ে চারিদিকে খোঁজাখুঁজি করে এক পর্যায়ে ঝাঁপা গ্রামের বাড়িতে আসে।

তার স্ত্রীর খবর ইমদাূুলের পরিবারের নিকট জানতে চাইলে, তাদের বাড়ির লোকজন তাকে কয়েকঘণ্টা বাড়িতে আটকে রাখে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর বিপদের আশঙ্কা ভেবে ইমদাদুলের পরিবার ঝাঁপা পুলিশকে অবহতি করেন। ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই সাহাবুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে প্রেমিক ইমদাদুল ও প্রেমিকা রেহেনাকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে রেহানার স্বামী রেজাউল ইসলাম পুলিশ ফাঁড়িতে যায় এবং তার নিয়ে আসা স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ দাবি করে। এসময় ঝাঁপা ফাঁড়ির ইনচার্জ এর নির্দেশে স্বামী রেজাউল তার শ্বশুরবাড়িতে সংবাদ দেই। তার দুই শালা সংবাদ পেয়ে ঝাঁপা ফাঁড়িতে আসে। এর পর দুই পক্ষের লোকজন নিয়ে সালিশী বৈঠক বসে ফাঁড়িতে। সেখানে স্বামী রেজাউল দাবি করেন তার স্ত্রী বাড়ি থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা একটা স্বর্ণের চেইন নিয়ে এসেছে কিন্তু স্বামীর কথা না শুনে বৈঠকে আলোচনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্ত্রী রেহেনা দাবি করেন তার স্বামীকে দেড় মাস পূর্বে ডিভোর্স দিয়েছে।  সেই মোতাবেক পুলিশ রেহেনাকে তার দুই ভাইয়ের কাছে বুঝে দেয় এবং ইমদাদুলকে তার পরিবারের কাছে দিয়ে দেয়। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে ২০ এপ্রিল সরজমিনে হিজলডাঙ্গা গ্রামে যেয়ে স্বামী রিজাউল সহ তার মাতা ও ভাই ভাবীদের একান্ত সাৎকারে সকল ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। যাওয়া হয় স্বামী রিজাউলের শশুরবাড়ি তালা উপজেলার ডাংগানলতা গ্রামের এক সন্তানের জননী রেহেনার পিতার বাড়িতে কথা হয় রেহেনার সাথে তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, আপনারা যা শুনেছেন বা যা ঘটেছে সবই সত্য। এক পর্যায়ে তার স্বামীর অর্জিত সম্পদ ফেরত দিবেন বলে জানান এই প্রতিবেদককে।

কথা হয় ঝাঁপা গ্রামের ইমদাদুলের পরিবারের সাথে তার বড় ভাই সেনা সদস্য পরিচয় দানকারী সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইয়ের কাছ থেকে রেহেনা তিন থেকে চার লাক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। রেহেনা একজন প্রতারক ও ছলনাময়ী নারী যার কারণে তাকে বৌ হিসেবে গ্রহণ করা সম্ভব নয়।
অভিযোগ উঠেছে, ঘটনার পরেও প্রেমিক ইমদাদুল তার প্রেমিকা রেহেনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে কথা হয় ফাঁড়ির ইনচার্জ এর সাথে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, তার স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছে যার কারণে ভাইদের কাছে রেহেনাকে দেয়া হয়েছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/উত্তম চক্রবর্তী


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর