ছাত্রীর মাকে ভাগিয়ে বিয়ে করলেন স্কুলশিক্ষক

প্রকাশিত: ১২:১২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২০ | আপডেট: ১২:১২:পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর(যশোর): ছাত্রীর মাকে ভাগিয়ে বিয়ে করার অপরাধে বরখাস্ত হতে যাচ্ছেন এক স্কুলশিক্ষক। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ। অভিযোগকারী রবিউল ইসলাম যশোরের কেশবপুর উপজেলার ভাল্লুকঘর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে এবং মণিরামপুর পৌর শহরের দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। প্রাইভেট পড়াতে গিয়ে প্রবাসীর স্ত্রী ও ছাত্রীর মাকে ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করেন এই শিক্ষক।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানা যায়, উপজেলার ষোলখাদা গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর হোসেনের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (৩০)  মেয়েকে নিয়ে ঘর ভাড়া করে থাকতেন মণিরামপুর পৌর এলাকার তাহেরপুর গ্রামে। সেখানে মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতে যেতেন দূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রবিউল ইসলাম। প্রাইভেট পড়ানোর সুবাদে তাদের বাড়িতে তিনি অবাধে যাতায়াত করতেন। এক পর্যায়ে প্রবাসীর স্ত্রী মরিয়মের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই শিক্ষক।

সূত্রমতে, গত ২০ ডিসেম্বর শিক্ষক রবিউল মণিরামপুর পৌর কাজী অফিসে গিয়ে দুই লক্ষ টাকা কাবিনে মরিয়মকে বিয়ে করেন। তাদের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাজী মাহাবুবুর রহমান।
এ ঘটনা জানাজানির পর স্থানীয়দের মধ্যে নানা আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠতে শুরু করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, এমন ঘৃণিত অপরাধের সাথে জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিলে তা থেকে সকল শিক্ষক সমাজ উচিৎ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবে।

সম্প্রতি এক অভিযোগের ভিত্তিতে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিক্ষক রবিউল ইসলামকে ৩ কার্য্য দিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দেয়ার জন্য শোকজ করা হয়। ইতিমধ্যে শোকজের জবাব দিয়েছেন তিনি। কিন্তু শিক্ষক রবিউলের শোকজের জবাব সন্তোষজনক হয়নি। যে কারণে তাকে চুড়ান্ত বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হচ্ছে।
এবিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম।

সুন্দরবনটাইমস.কম/উত্তর চক্রবর্তী


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক