কেশবপুরে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে ঘের মালিকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন ঘের মালিক কেরামত আলী গাজী।
যশোরের কেশবপুরে এক ঘের মালিককে হয়রানি করতে অপার এক ঘের মালিক ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ঘের মালিক কেরামত আলী গাজী সোমবার দুপুরে কেশবপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
লিখিত বক্তব্য পাঠকালে তিনি জানান, ৪ বছর আগে পৌর এলাকার আলতাপোল গ্রামের ঘের ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বিশ্বাস পাঁজিয়া ইউনিয়নের সাগরদত্তকাটি গ্রামের ৩২৫ বিঘা জমি কৃষকদের কাছ থেকে হারি হিসেবে নিয়ে একটি মাছের ঘের করেন। গত ৫ ডিসেম্বর বিকেলে কে বা কারা তার মাছের ঘেরটি দখল করতে যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় তিনি জানতে পারেন দখলকারিরা ঘেরটির দখলে নিতে ব্যর্থ হয়।
এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে ঘের ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান বিশ্বাস থানায় আমাকে ও আমার ছেলে ইয়াছিন গাজীসহ ১৬/১৭ জনের নামে মিথ্যা সাধারণ ডায়েরী করেছে। যা ৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও ভিত্তিহীন বলে তিনি অভিযোগ করেন। কামরুজ্জামান বিশ্বাস ঘের করার সময় খাল-বেঁড়ি ৪২ হাজার টাকা ও ডাঙ্গা ২১ হাজার টাকা দিবে বলে কৃষকদের সাথে চুক্তি করে নেয়। কিন্তু এ শর্ত সে ভঙ্গ করে খাল-বেঁড়ি ২৮ হাজার টাকা, ডাঙ্গা ১৪ হাজার টাকা করে হারি দেয়। এরপরও সে ঠিকমত কৃষকদের হারির টাকা পরিশোধ করে না।
এমনকি ঘেরের পানি সময়মত নিষ্কাশন না করায় কৃষকরা বোরো ধান আবাদ করতে ব্যর্থ হয়। সে এতদিন ঘের কমিটির প্রভাবশালী সদস্যদের ম্যানেজ করেই ঘেরটি চালিয়ে আসছে। যে কারণে ওই ঘের সংলগ্ন এলাকার কৃষকরা তার বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে। বর্তমান ঘেরের দখল নিয়ে জনগণ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তার ঘেরের চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হলেই কৃষকরা ঘেরটি আমাকে দিয়ে দেবে। যা নিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর বিকেলে এলাকার কৃষকরা ঘের কমিটির সভাপতির অনুপস্থিতিতে একটি জরুরী সভাও করে। এ সভাকে বানচাল করতেই ঘের দখলের নাটক করা হয়েছে বলে তিনি সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন।
ঘের ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান ওই ঘটনায় ঈর্ষাম্বিত হয়ে আমাকে প্রতিপক্ষ মনে করে আমিসহ আমার পরিবারকে জড়িয়ে হয়রানি করতে থানায় মিথ্যা ডায়েরী করেছে। এমতাবস্থায় তিনি হয়রানি হাত থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। এ সময় তার ছেলে ইয়াছিন আলী গাজীসহ প্রায় অর্ধশত কৃষক উপস্থিত ছিলেন।