কেশবপুরে পুন:খনন খাল ৬ মাসেই ভরাট, স্বেচ্ছাশ্রমে খালের পলি অপসারণ

প্রকাশিত: ২:৫৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০ | আপডেট: ২:৫৭:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৮, ২০২০
কেশবপুর উপজেলার আগরহাটি খালের ভরাট হয়ে যাওয়া পলি স্বেচ্ছাশ্রমে অপসারণ করছেন কৃষকরা।

যশোরের কেশবপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড গত জুলাই মাসে উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নের আগরহাটি খালটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পুন:খনন করে। এর ৬ মাস যেতে না যেতেই খালটি আবারও পলিতে ভরাট হয়ে গেছে। ফলে পানি নিষ্কাশন পথ বন্ধ হয়ে ভরত ভায়না বিল এলাকার ১২টি বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ্যে বিল এলাকার শত শত কৃষক গত ৪ দিন ধরে স্বেচ্ছাশ্রমে ওই খালের পলি অপসারণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানা গেছে, আগরহাটি খালের ৪ ব্যান্ড স্লুইচ গেট দিয়ে ভরত ভায়না বিল এলাকার সারুটিয়া, ভেরচি, ডহুরী, কাকবাধাল, ভরত ভায়না, সন্ন্যাসগাছাসহ ১০ থেকে ১২ টি বিলের পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। ওই খাল পলিতে ভরাট হওয়ার কারণে গত বছর অধিকাংশ বিলে বোরো আবাদ হয়নি। যে কারণে মানুষকে দুর্বিসহ জীবন যাপণ করতে হয়েছে। চলতি বছর বিলে ধান না হলে মানুষকে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে। একথা বিবেচনা করে এলাকার কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে ওই খালের পলি অপসারণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ কাজের নেতৃত্বে থাকা আগরহাটি গ্রামের স্বপণ কুমার মন্ডল জানান, গত জুলাই মাসে পানি উন্নয়ন বোর্ড ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে পলিতে ভরাট হওয়া ওই খাল খননের কাজ করে। কিন্তু ৬ মাস যেতে না যেতেই খালটি পুনরায় পলিতে ভরাট হয়ে যায়। ওই খালের ৪ ব্যান্ড স্লুইচ গেটের দু’পাশ পলিতে ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। তাই এলাকার ভেরচি, সারুটিয়া, কাকবাধাল, ডহুরী এলাকার প্রায় ২’শ কৃষক স্বেচ্ছাশ্রমে পলি অপসারণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। কৃষকদের অভিযোগ, গত চার দিন ধরে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ কাজ চালিয়ে গেলেও এখনও কারো সহযোগিতা পাইনি। এমনকি কেউ তাদের খবরও নেয়নি। এবার বিলে ধান না হলে ১৫ থেকে ২০ গ্রামের হাজার হাজার মানুষকে না খেয়ে দিন কাটাতে হবে।

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের এসও ফিরোজ হোসেন বলেন, আগরহাটি খালটি শ্রী নদীর শাখা খাল। এই খাল দিয়ে ভরত ভায়না বিল এলাকার পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। পলির হাত থেকে ভরত ভায়না বিল এলাকার বিলগুলি রক্ষায় অতীতে আগরহাটি খালের মুখে ৪ ব্যান্ড স্লুইচ গেটটি নির্মাণ করা হয়। ৬ মাস আগে খালটি খনন করা হলেও নদীতে ব্যাপকভাবে পলি জমছে। যে কারণে কিছুদিন যেতে না যেতেই আবার পলিতে ভরাট হয়ে যাচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর