কেশবপুরে ভরা আমন মৌসুমে সেচ বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন, দিশেহারা কৃষক প্রকাশিত: ৬:৫০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২০ | আপডেট: ৬:৫০:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২০ কেশবপুরে বৈদ্যুতিক সেচ পাম্পের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসের চত্বরে কৃষকরা সমবেত হন। যশোরের কেশবপুরের মজিদপুর এলাকায় ভরা আমন ধান চাষের মৌসুমে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সেচ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ধান রক্ষার দাবি জানিয়ে কৃষকরা রোববার দুপুরে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর পুণ সংযোগ দিয়ে ধান রক্ষার জন্য আবেদন করেছেন। এবং তাদের ক্ষতির মুখে পড়া ধান গাছ নিয়ে নারী পুরুষের উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমবেত হন। জানা গেছে, উপজেলার মজিদপুর গ্রামের আব্দুল আজিজ এর ছেলে আব্দুল গণির মালিকানাধিন সেচ মোটরে এলাকার অর্ধ শতাধিক কৃষক ২০১৪ সাল থেকে আমন ও বোরো ধান আবাদ করে আসছিলো। এ সেচের আওতায় ৩০ থেকে ৩২ বিঘা জমিতে আমন ধান আবাদ চলছে। শেষ মুহুর্ত্বে কেশবপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সেচ সংযোগের সংযোগ লাইন গত ৮ অক্টোবর বিচ্ছিন্ন করে দেয়। কৃষকরা জানান, বর্তমান ধানে থোড় আসার সময়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করায় তারা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছেন। এ মহুর্ত্বে সংযোগ না দিলে ধান আবাদ করা সম্ভব হবে না। কেশবপুর পল্লী বিদ্যুতের ডিজি এম আব্দুল লতিফ মোড়ল সাংবাদিকদের জানান, একই এলাকার জনৈক নূর আলী বিভিন্ন দফতরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার আবেদন করলে দেখা যায় আব্দুল গণির যে স্থানে সেচ মোটর বসানোর কথা ছিলো সেটা সেখানে করেনি। বিধায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।তবে কৃষকদের স্বার্থের কথা ও ২০১৪ সাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ কিভাবে পেলো প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা সেচ কমিটি নির্দেশনা দিলে সংযোগ দেয়া সম্ভব। কৃষক আব্দুল হামিদ,হাফেজ আবুল কালাম, আনায়োর আলী, আব্দুল লতিফ, হাবিবুর রহমানসহ কৃষকরা জানান, এ মুহুর্ত্বে সেচ সংযোগ চালু করা না হলে কৃষকরা অর্থনৈতিক ক্ষতি গ্রস্থ হবেন। তাদের ধান চাষের সুযোগ সৃষ্টি করা না হলে তারা ধান আবাদ রক্ষায় মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসুচি নিতে বাধ্য হবেন। সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৫১ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন আজ মধু কবির ১৯৯তম জন্মবার্ষিকী, সাগরদাঁড়িতে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা শুরু কেশবপুরে মৎস্য চাষীরা পেল মাছের পোনা খাদ্যসহ বিভিন্ন উপকরণ