পেশাগত সাফল্য ধরে রাখতেই নিজেকে সৎ হতে হবে: জেলা জজ শেখ মফিজুর রহমান

সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান বলেছেন, আইন পেশা একটি মহান পেশা। এ পেশাকে সমুন্নত রাখতে পড়াশুনার পাশাপাশি জ্যেষ্ট আইনজীবীদের মামলার উপস্থাপন, জবানবন্দি ও জেরা ধৈর্য ধরে শুনতে হবে। সেটাকেই ধারণ করতে পারলে নিজের লব্ধ জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে একজন বিচারপ্রার্থীকে ন্যয় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে যথাযথ ভূমিকা রাখা যায়।

জেলা আইনজীবী সমিতির আয়োজনে শনিবার বেলা ১১টায় সমিতির নতুন ভবনের তিন তলায় ২০১৬ ও ১৮ ব্যাচের নবাগত আইনজীবিদের নিয়ে উক্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নিজের শিক্ষা জীবন ও কর্মজীবনের কিছু বিশেষ মুহুর্তের কথা তুলে ধরে প্রধান অতিথি বলেন,প্রথম পেশা, প্রথম চাকুরি ও প্রথম প্রেম ভোলা যায় না। জুনিয়র আইনজীবীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে যেয়ে তিনি বলেন, পেশাগত সাফল্য ধরে রাখতেই নিজেকে সৎ হতে হবে।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম শাহ আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবীর, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা, অ্যাডভোকেট মোস্তফা জামান, অ্যাডভোকেট সায়েদ, আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা।
অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাহেদুজ্জামান সাহেদ প্রমুখ। বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে মুখ্য বিচারিক হাকিম আইনজীবীদের বিচার সংক্রান্ত নানা সমস্যা সমাধানের উপায় নিয়ে উত্তর দেন।
বিশেষ অতিথি ও আলোচক হিসেবে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম মোস্তফা দেওয়ানী মামলার কার্যক্রম এর উপর দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট এম শাহ আলম বলেন, আইনজীবী না হয়েও অনেকে আইনজীবী পরিচয়ে মোয়াক্কেলদের হয়রানি করে যাচ্ছেন। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। টাউট বাটপাড়দের অনেক সময় মঞ্চে বসে থাকতে দেখে সম্মানী লোকজন মাথা নীচু করে চলে যায়। জ্যেষ্টদের সম্মান করে এ অবস্থার পরিবর্তণ করতে আপনাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরো বলেন, কৌশলে অলিখিত কাগজে স্ত্রীর সাক্ষর নিয়ে এসে আদালতে এফিডেফিড করে তালাক দেওয়া হচ্ছে। এতে একজন নারী ও তার সন্তানরা পথে বসছে।
সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তোজাম্মেল হোসেন তোজাম।