ডুমুরিয়ার স্বেচ্ছাশ্রমে গ্রাম রক্ষা বাঁধ নির্মাণ প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২১ | আপডেট: ১২:৩২:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৭, ২০২১ ডুমুরিয়ার শোভনায় তেলিগাতী নদীর কোল ঘেঁষে বাগআঁচড়া-বাদুরগাছা এলাকার গ্রামরক্ষা বাঁধটি স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী। প্রতি বছর বাঁধটি ভেঙ্গে নদীর পানি প্রবেশ করায় ধান,মাছ ও ফসলি জমির ক্ষতি হয়ে থাকে । সম্প্রতি পূর্নিমায় নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ওই এলাকার স্লুইজ গেট হতে অমল মন্ডলের বাড়ি পর্যন্ত আনুমানিক ১ কিলোমিটার বাঁধ নদীতে ধসে যায়।এরফলে বাঁধের উপর দিয়ে পানির প্রবেশ করায় এলাকা বাসীর নির্ঘুম রাত কাটে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈদ্যর ডাকে তিন শতাধিক গ্রামবাসি স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটির মেরামত কাজে অংশ নেয়। সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের তেলিগাতি নদীর তীরবর্তী ব-দ্বীপ বেষ্টিত গ্রাম বাগআঁচড়া-বাদুরগাছা। এ গ্রামের চারপাশ দিয়ে রয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয়ের অধিনস্থ গ্রামরক্ষা বাঁধ।বছরের প্রায়ই সময় নদী ভাঙ্গন আতংক ও ঝুঁকি নিয়েই এলাকাবাসীকে বসবাস করতে হয়। স্থানীয় সরকার ও ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে ভেড়ীবাঁধের সংস্কার কাজ হলেও স্থায়ী কোন সমাধান পাচ্ছেনা গ্রামবাসি। গত পূর্নিমায় নদীতে অস্বাভাবিক হারে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধের একাধিক স্থানে ফাঁটল ও ছিদ্র হয়ে পানি ভিতরে প্রবেশ করে।এতে ওই ভেড়ীবাঁধ সংলগ্ন বসবাসকারীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করতে থাকে। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দের নির্দেশনায় এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের বাঁধের ফাটল স্থানে মাটি দেওয়া হয়। গতকাল প্রায় তিন শতাধিক গ্রামবাসি স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে বাঁধ মেরামতের চেষ্টা চালায়। নদীর পানির চাপ কম থাকায় ভেড়িবাঁধে মাটি দিয়ে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।ইউপি সদস্য দেবব্রত সরদার বলেন, সরকারী ভাবে প্রতিবছর বাঁধ সংস্কার করা হয় কিন্তু তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল।নদীর এ কুলে স্রোতের চাপ বেশি তাই বাঁধের উপর চাপ পড়েছে। টেকসই বাঁধ নির্মাণ করতে না পারলে এলাকার ফসলসহ মানুষের ব্যাপক ক্ষতি হবে।ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত বৈদ্য বলেন,বাঁধটি মেরামতের জন্য বিভিন্ন সময় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে টিআর,কাবিখা ও নগদ অর্থ দেয়া হয়েছে।এছাড়া মাননীয় সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ ভাঙ্গন কবলিত বাঁধটি সংস্কারের জন্য লক্ষাধিক অর্থ দিয়েছেন।ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধটি নাজুক পরিস্থিতি থেকে উত্তরনের জন্য এলাকাবাসির সহয়াতায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন,স্থানীয় সরকার অধীনস্থ ওই বাঁধটি প্রতিবছর নদীগর্ভে বিলিন হয়,সংস্কারের জন্য প্রকল্পের মাধ্যমে মাটির কাজ করানো হয়ে থাকে। ঝুঁকিপূর্ণ এ বাঁধটি টেকসই করার লক্ষে একটি প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। সার্ভে টিম ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নকসা তৈরী করেছে। সংবাদটি ৪৩৩ বার পড়া হয়েছে আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন ডুমুরিয়ায় এক গৃহবধূর আত্মহত্যা ডুমুরিয়ায় দুর্গা পূজা উদযাপনে থানা পুলিশের মতবিনিময়