সাতক্ষীরায় দূর্গতরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে

প্রকাশিত: ১:৪২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৯ | আপডেট: ১:৪২:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা:
বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার উপকূলীয় অঞ্চল। আশ্রয় কেন্দ্র থেকে যারা বাড়ি ফিরেছে গতরাত তাদের অন্ধকারে কেটেছে। এদিকে, রাস্তার উপরের পড়ে থাকা গাছ অপসারণ করে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় জনগণ যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে একদিন পর সাধারণ মানুষ স্বাবাভিক জীবনে ফিরতে শুরু করেছে। নৌবাহিনীর একটি ত্রাণবাহী জাহাজ শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরা দ্বীপের খোলপেটুয়া নদীতে অবস্থান করছে। এদিকে, প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল জানান, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত উপকুলীয় এলাকার মানুষকে সহায়তার জন্য নগদ ১৭ লাখ টাকা ও ৫০০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, বুলবুলের প্রভাবে উপকুলীয় এলাকা শ্যামনগর, কালিগঞ্জে মোট ৩৩ হাজার ৬৬০টি কাঁচা ঘর-বাড়ি আংশিক এবং ১৬ হাজার ৫৮০টি কাঁচা ঘর-বাড়ি সম্পূর্ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার মানুষ। এছাড়া উপকুলীয় উপজেলাসহ জেলায় মোট ৫হাজার ৭১৯ হেক্টর বিঘা মৎস্যঘের পানিতে নিমর্জিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪১৪ মেট্রিক টন মাছ যার আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা।
এর ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে, কোন প্রানহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে। সাতক্ষীরার উপকুলীয় এলাকায় ৬ লাখ মানুষের বসবাস এর মধ্যে ১ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল। তবে গতকাল দুপুরের পরে বেশির ভাগ মানুষ তাদের নিজ আবাসস্থলে ফিয়ে যায়। এদিকে, উপকুলীয় এলাকার বেঁড়িবাধ গুলো খুবই ঝুকিপূর্ণ রয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/শা:গো:/সাতক্ষীরা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক