সাতক্ষীরায় প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা !

প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৩ | আপডেট: ৫:৫৬:অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২৩

সাতক্ষীরায় প্রতিদিনে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় আড়াই শতাধিক রোগী। হাসপাতালে ভর্ত্তি হওয়ায় ৯০ শতাংশ রোগীর অধিকাংশই ঢাকা থেকে আসায় জেলায় সাধারণ মানুষের মধ্যে বেড়েছে আতঙ্ক। প্রথমবারের মতো জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত একজন নারী রোগী মারা যাওয়ায় আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সাতক্ষীরা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, হঠাৎ করেই সাতক্ষীরার সরকারি হাসপাতাল গুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জ্বর, মাথা ব্যাথা আর বমি বমি ভাব নিয়ে ভর্তি হওয়া এসব রোগীরা অধিকাংশ এসেছে ঢাকা থেকে ফিরে। যদিও ডেঙ্গু রোগীর এই অতিরিক্ত চাপ সামাল দিতে জেলার সরকারি হাসপাতাল গুলোতে খোলা হয়েছে আলাদা ইউনিট।

এদিকে হাসপাতালের ভিতরে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার না করার মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পাচ্ছে অভিযোগ রোগী ও স্বজনদের। জেলায় এই প্রথম ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফেরদৌসী খাতুন নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আরো ৬ জনের ডেঙ্গু জ্বর সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ২২৭ জন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে এক জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ জনসহ বিভিন্ন সরকারী-বেরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মোট ৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এছাড়া ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে আজ পর্যন্ত সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ১৭৬ জন আর রেফার্ড করা হয়েছে ১৫ জনকে।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু ইউনিটের ইনচার্জ আবাসিক মেডিকেল অফিস ডা: তানভীর আহমেদ জানান, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিযতে আসা রোগীরে মধ্যে ঢাকা থেকে ফিরে আসা রোগীর সংখ্যা ৯০ শতাংশ।

সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. শেখ সুফিয়ান রুস্তম জানান, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে-আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

তিনি আরও জানান, জেলায় এডিস মশার বিস্তার ঠেকাতে মশক নিধন কার্যক্রম জোরালো করতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগীতা চেয়েছেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স