সাতক্ষীরাতে ৫৮শতাংশ পানিতে ব্যাকটেরিয়া দূষণ পাওয়া গেছে !

প্রকাশিত: ৬:৫৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৩ | আপডেট: ৬:৫৬:অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২৩

সাতক্ষীরাতে উন্নত টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে। ৫৮ শতাংশ পানিতে ব্যাকটেরিয়া দূষণ পাওয়া গেছে। সম্প্রতি সমাপ্ত নেদারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ওয়াশ এসডিজি প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত শেষ জরিপে উক্ত ফলাফল পাওয়া যায় ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জরিপে দেখা যায় যে, বেইজলাইন (২০১৮) জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল থেকে এন্ডলাইন জরিপে উন্নত টয়লেট ব্যবহারের হার বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। কিন্তু খাবার পানিতে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ পাওয়া গেছে ৫৮% নমুনাতে। এবং আর্সেনিক পাওয়া গেছে ৯ শতাংশ নমুনাতে। প্রধান উৎস থেকে জলের প্রাপ্তি/ ব্যবহার বেড়েছে ৩৭ লিটার থেকে ৫৫ লিটারে। এছাড়া ওপেন ডেফিকেশন (খোলা জায়গায় মলত্যাগ) প্রায় শূন্যের ঘরে এসেছে। হাইজিন অনুশীলন বেড়েছে ৯% থেকে ৭৭% এ।

এ জরিপে মোট ৪৯২ খানা, ৯ স্কুল, ৩কমিউনিটি ক্লিনিক অংশগ্রহন করে। মোট ২৪৬ খানার পানির নমুনা পরিক্ষা করা হয়, তিনটি প্যারামিটারে (আর্সেনিক, লবণাক্ততা এবং ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া)।

এ জরিপে সাতক্ষীরা ও কলারোয়া পৌরসভা এবং সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩টি ও তালা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৪৯২ পরিবারকে এ জরীপের আওতায় নেওয়া হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালে প্রকল্পের শুরুতে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন সম্পর্কিত বিষয়ে জরিপ করা হয়েছিল এবং প্রকল্পের শেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে শেষ জরিপে উক্ত একই বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করা হয়। এতে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি সূচকে পানি, স্যানিটেশন এবং হাইজিন এর পরিস্থিতি উন্নীত হয়েছে। তবে ব্যাকটেরিয়া দূষণ বেড়েছে, বেইজলাইন এ ৪৬% ছিল।

উপরেল্লিখিত ফাইন্ডিংস, ২৩ আগষ্ট ২০২৩ সাতক্ষীরার ম্যানগ্রাভ ভেন্যুতে জরিপকৃত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, স্কুল কমিউনিটি ক্লিনিক, ওয়াশ উদ্যোক্তাদের সাথে শেয়ার করা হয়।

উক্ত ওয়ার্কশপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কলারোয়া পৌরসভা মেয়র মনিরুজ্জামান বুলবুল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, খলিশখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাব্বির হোসেন, জালালপুর ইউপি চেয়ারম্যান, মফিদুল হক লিটু, সাতক্ষীরা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাহিদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপার ভাইজার বাবু প্রভাষ কুমার,  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সাতক্ষীরা সহকারী সার্জন বাবু ডাঃ রাহুল দেব রায়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন, সাতক্ষীরা পৌরসভার পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ লিয়াকত আলী।

ওয়ার্কশপে মুল উপস্থাপনা উপস্থাপন করেন, সিমাভি মনিটরিং ইভাল্যুয়েশন এন্ড লার্নিং অফিসার মোঃ শামসুর রহমান। তিনি বরগুনা অঞ্চলের উপস্থাপনায় আরবান(পৌরসভা) এবং রুরাল (গ্রাম) এলাকা ভিত্তিক তুলনামুলক আলোচনা করেন।

মূল উপস্থাপনার পর খোলা আলোচনায় সকল অংশগ্রহনকারী তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং সিমাভি এবং পার্টনার সংস্থা(হোপ ফর দ্যা পুরেস্ট, উত্তরণ, প্র্যাকটিক্যাল একশন) প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলার ডিপিএইচই প্রতিনিধি, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, হেল্থ সেন্টারের প্রতিনিধি, সিএসও প্রতিনিধি, এমএফআই প্রতিনিধি, সাংবাদিক, স্থানীয় ব্যবসায়ীবৃন্দ।

হোপ ফর দ্যা পুরেস্ট এর টাউন কো-অর্ডিনেটর মৃনাল কান্তি সরকারের সঞ্চালনায় কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উত্তরণ এর প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভীন, প্র্যাকটিক্যাল একশন বাংলাদেশ এর প্রজেক্ট ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম সোহান এবং প্রকল্পের স্টাফবৃন্দ।

 

বার্তা প্রেরক/হাসিনা পারভীন/প্রকল্প সমন্বয়কারী, উত্তরণ।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স