রাজগঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক

প্রকাশিত: ৯:৫৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২০ | আপডেট: ৯:৫৩:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২১, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, মণিরামপুর(যশোর): রাজগঞ্জে লিপিকা দাস নামে এক গৃহধূকে পরকীয়ার জেরে তার স্বামী হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে থানার এসআই জহির রায়হান মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের মাঝিয়ালী গ্রামের বিজয় দাসের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে। লিপিকার স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ স্বামী বিজয় দাসকে আটক করেছে।
বিজয় দাস মাঝিয়ালী গ্রামের ধীরেন দাসের ছেলে। তিনি জুতা সেলাই করে সংসার চালান। আর লিপিকা কেশবপুর উপজেলার খতিয়াখালি গ্রামের পাগল দাসের মেয়ে। ৬-৭ বছর আগে বিজয় দাসের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ওই দম্পতির প্রীতি (৪) ও প্রিতম (২) দুটি সন্তান রয়েছে। লিপিকার ভাই সাধন দাস জানান, বিয়ের পর থেকে লিপিকাকে ঘরে নিতে চাইত না বিজয়। টাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে বিজয় তাকে মারধর করত। কয়েকদিন আগে বিজয় জমি কেনবে বলে দুই লাখ টাকা দাবি করে। সেই টাকা দিতে না পারায় লিপিকাকে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে সে।
সাধন বলেন, শনিবার সন্ধ্যার পরপরই লিপিকাকে হত্যা করে গলায় লুঙ্গি জড়িয়ে তার লাশ ঝুলিয়ে রাখে বিজয়। লিপিকার মরার খবর বিজয় আমাদের জানায়নি। লিপিকা আত্মহত্যা করেছে, এমন খবর প্রচার করে তারা তাকে দাহ্য করার জন্য শ্মশানে নেয়ার কাজ শুরু করে। পরে বিজয়ের পাশের বাড়ি থেকে মোবাইল পেয়ে আমরা দ্রুত চলে আসি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

লিপিকার ভাবি শোভা দাস বলেন, বিজয় আগের স্ত্রী ও চার সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন করে লিপিকাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে এক বছরও ভালোভাবে সংসার করতে পারেনি লিপিকা। বিজয় ঢাকায় ও চট্টগ্রামে জুতা সেলাইয়ের কাজ করত। লিপিকাও তার সঙ্গে থাকত। চট্টগ্রামে এক নারীর সঙ্গে বিজয়ের পরকীয়া আছে। এই কারণে লিপিকাকে পিটিয়ে ঘর থেকে বের করে দেয় বিজয়। পরে কেশবপুরে আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নেয় লিপিকা। এই নিয়ে আমরা কেশবপুর থানায় অভিযোগ করি। গত ২২ ডিসেম্বর থানায় মুচলেকা দিয়ে লিপিকাকে নিয়ে আসে বিজয়। এরপর শনিবার রাতে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মণিরামপুর থানার এসআই জহির রায়হান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, লিপিকা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে বিজয়কে হেফাজতে নিয়েছি।

সুন্দরবনটাইমস.কম/উত্তম চক্রবর্তী

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক