ডুমুরিয়ায় ১৪৭ টি গাছে ড্রাগন চাষে কৃষকের ভাগ্য বদল

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১ | আপডেট: ১০:৪২:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
ডুমুরিয়ায় ৪শতক জমিতে ১৪৭টি গাছে ড্রাগন চাষ করে ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়েছে রফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষক। 

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস
সাহস ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ শেখের পুত্র কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম (৪৮) জানায়, ২০১৮ সালে ৪শতক জমিতে ৪৯ টি স্টাম্পের ১৪৭টি গাছে ড্রাগন ফল চাষ করে ৬৮ হাজার টাকা বিক্রয় করেন। ২০১৯ সালে  ৬৫টি স্ট্যাম্পে ১লক্ষ ৬২হাজার টাকা বিক্রয় করেন। একই গাছে ২০২০ সালে ১লক্ষ ৮০ হাজার টাকা বিক্রয় করেন। ২০২১ সালে আগষ্ট মাস পর্যন্ত ৯২হাজার টাকা বিক্রয় করেছেন এবং গাছে প্রচুর ফলন। এবছর তিনি আরও দেড় লক্ষ টাকা বিক্রয় করতে পারবেন বলে আশা করেন। 
 
তিনি জানান, প্রতি মাসে ২ বারে ৭-৮ মণ করে ড্রাগন ফল বিক্রয় করা সম্ভব। প্রতি মণ ড্রাগন  ১০/১২ হাজার টাকা মূল্যে বিক্রয় করছেন।
 মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে ফুল আসা শুরু হয়। ১মাস পর এপ্রিলের ১৫ তারিখে প্রথম ফল পাওয়া যায়। একটানা নভেম্বর পর্যন্ত ৭মাস ফল পাওয়া যায়। এবছর তার খরচ হয়েছে প্রায় ১২হাজার টাকা। ড্রাগন চাষের শুরুতে তিনি জমির পাশে একটি গর্ত খুঁড়ে কচুরিপানা ভরাট করেন। এ কচুরিপানার সাথে কিছু ইউরিয়া সার মিশিয়ে পলিথিন কাগজ দিয়ে ভাল করে ঢেকে রাখেন। মাঝেমধ্যে গাছ লাল হলে এই সারই তিনি গাছের গোড়ায় গোড়ায় দিয়ে দেন। অন্য কোন সার তিনি ব্যবহার করেন না। 
 
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ড্রাগন ফল অত্যন্ত সুসাধু ফল। এ ফল খেলে আত্মা জুড়িয়ে যায়। এক গাছে দীর্ঘদিন ধরে ফলন পাওয়া যায়। গাছ নষ্ট হয় না। ড্রাগন চাষে তুলনামূলকভাবে খরচ অনেক কম। ডুমুরিয়ায় রফিকুল ইসলামসহ যারা ড্রাগন চাষ করেছে তাদের উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ড্রাগন চাষীদের সাফল্য দেখে অনেকে এ ফল চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।   
 

আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা