ডুমুরিয়ায় সফল উদ্যোক্তা আখ চাষী মুস্তফা কবিবের সফলতা

খুলনা-সাতক্ষীরা হাইওয়ে রুটে ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ থেকে ৮ কিঃমিঃ গেলে খর্নিয়া পেট্রোল পাম্পের পিছনে তরুণ কৃষক মুস্তফা কবিরের ২৫ শতাংশের আখ ক্ষেত। অত্যন্ত দৃষ্টি নন্দন এই ক্ষেতটি দেখলে প্রাণ জুড়িয়ে যায়। আধুনিকতার সকল প্রযুক্তির সমাহার ঘটান হয়েছে এই ক্ষেতটিতে। পাশ থেকে দেখলে একটি সারির ভিতর দিয়ে অপর পাশটি দেখা যায় এবং কোন সারির একটা গাছ নাড়া দিলে ঐ সারির সকল গাছ নড়তে থাকা।
মুস্তফা কবির ছোট বেলায় খুব কষ্টে মানুষ হয়। পরিবারের দৈন্য দূর্দশার কারনে বেশি দুর পড়ালেখা করতে পারেননি। ৬ষ্ঠ শ্রেনী পর্যন্ত পড়ালেখা করার পরে তিনি তার পিতার সাথে কৃষি কাজে লেগে যান। জীবনে তাকে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। বর্তমানে তিনি সফল। তিনি বাড়ি তৈরি করেছেন। দুটি বোনকে পড়ালেখা শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছেন এবং খর্নিয়া বাজারে একটি ঘরও করেছেন।
তিনি এবছর উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে তার বসতবাড়ি সংলগ্ন ২৫ শতাংশ জমিতে নড়াইল ৬৭ জাতের আখ লাগিয়েছেন। তিনি গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে এ আখ লাগিয়েছিলেন। তার এ ২৫ শতাংশ জমিতে ৭হাজার পিচ আখের বীজের প্রয়োজন হয়। তার সার, বীজ, কীটনাশক, কুশি ভাঙ্গা, পাতা ছাড়ান এবং অন্যন্য পরিচর্যা বাবদ এ পর্যন্ত সর্বমোট ২৫হাজার টাকা খরচ হয়েছে।
ইতিমধ্যে ব্যাপারি আসা শুরু হয়েছে এবং ৯০হাজার টাক দাম বলছে। তিনি আশা করছেন এই ক্ষেতটি ১লক্ষ টাকা বিক্রি করতে পারবেন।
এ ব্যপারে তিনি বলেন, আখ অত্যন্ত একটি লাভজনক ফসল।এটি বিক্রি করতে সমস্যা হয় না। ভাল পরিচর্যা পেলে বিঘা প্রতি প্রায় ১লক্ষ টাকা লাভ করা যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোঃ মোছাদ্দেক হোসেন বলেন, আখ একটি উচ্চ মূল্যের ফসল। এর সাথে সাথী ফসল লাগালে সাথী ফসলের টাকাতেই প্রায় খরচ উঠে যায়। মুস্তফা কবির মূলত আমাদের একজন তরুণ উদ্যোক্তা। তাকে প্রশিক্ষণ ও মাঠে গিয়ে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তার এ সাফল্যে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা ও বেকার যুবক কৃষি কাজে আগ্রহী হচ্ছে। এ ধরনের উদ্যোক্তাগণকে বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছে কৃষি বিভাগ।