করোনো সংক্রমণ রোধে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সাতক্ষীরা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০ | আপডেট: ৭:৫৫:অপরাহ্ণ, মার্চ ২৩, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনো ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দেশে আসা প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ ও বাজার স্থিতিশীল রাখতে জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামালের নেতৃত্বে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ডবৃন্দ এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ঘুরছেন বাড়ি বাড়ি। তদারকি করছেন বাজার। ইতোমধ্যে জেলায় বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রবাসীদের শরীরে মেরে দেওয়া হচ্ছে সিল।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এছাড়া বাজার স্থিতিশীল রাখতে ও চায়ের দোকানে জনসমাগম বন্ধ করতে জেলাব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালতের একাধিক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান সোমবার ব্রহ্মরাজপুর বাজারের ২টি চায়ের দোকানে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালান। এসময় দোকান দুটি থেকে ২টি টেলিভিশন জব্দ করে ব্রহ্মরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যানের জিম্মায় রেখে দেন। একই সময় তিনি সম্প্রতি ভারত থেকে দেশে আসা ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের বেলায়েত হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালান এবং তাকে হোম কোয়ারেন্টাইন মেনে চলার নির্দেশনা দেন।

এদিকে, পণ্যের মূল্য তালিকা না টানানোর অভিযোগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল আমিন তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা বাজারে অভিযান চালিয়ে চার দোকানীকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করেন। একইভাবে তালা উপজেলার খালিলনগর ইউনিয়ন ও জালালপুর ইউনিয়নে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাড়িতে লাল নিশান টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাসস্ট্যান্ডে জীবাণু নাশক স্প্রে করা হয়েছে।

দেবহাটা উপজেলায় ১৯টি টিম মাঠ পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করছে। এসময় হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ বিদেশ ফেরতদের বাড়িতে লাল পতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং বাজারমূল্য নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়নে হোম কোরান্টাইনে থাকা বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের বাসায় লাল ফ্লাগ স্থাপন করা হয়েছে। শ্যামনগরে প্রবাসীদের বাড়িতে লাল ফ্লাগ স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও কালিগঞ্জ উপজেলায় ১২টি বাজারে ৫ সদস্যের একটি করে টিম কাজ করছে। আশাশুনি উপজেলায় হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সিল মারা এবং লাল নিশানা লাগানোর কার্যক্রম চলমান আছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক