করোনা আতঙ্কে সাতক্ষীরা হাসপাতাল গুলোতে দিন দিন কমছে রোগীর সংখ্যা: স্বাস্থ্যকর্মীরাও আতঙ্কে

প্রকাশিত: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০ | আপডেট: ১০:৩৭:পূর্বাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সাতক্ষীরার হাসপাতাল গুলোতে দিন দিন কমছে রোগীর সংখ্যা। এই ভাইরাস সংক্রামনের ভয়ে হাসপাতালে না এসে অনেকেই মোবাইলে ফোন দিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ চিকিৎসা। এদিকে চিকিৎসক ও নার্সদের পার্সোনাল প্রটেক্ট ইকুইপমেন্ট (পিপিই) না থাকায় তারাও আছে আতঙ্কে। তবে অচিরেই পিপিই সরবরাহ করা হবে বলে জানালেন হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সাতক্ষীরার ২২ লক্ষ মানুষের চিকিৎসার সেবার অন্যতম আশ্রয়স্থল সদর হাসপাতাল ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। এই দুই হাসপাতাল মিলে ৩৫০ শয্যার হলেও মাত্র এক মাস আগে রোগীর চাপে হাসপালগুলোর মেঝেতে পা ফেলার জায়গা থাকতো না। কিন্তু বর্তমানে হাসপাতালগুলোতে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। এখান থেকে দু-সপ্তাহ আগেও যেখানে বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ১৩শ থেকে ১৪শ রোগী চিকিৎসা নিলেও এখন বর্তমানে ৭০-৮০জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে প্রতিদিন। বাইরে সর্দি,কাশি ও শ্বাকষ্টের রোগীর জন্য আলাদা ইউনিটে একজন ডাক্তার বসে থাকলেও দেখা মিলছে না কোন রোগীর। যদিও কিছু রোগী নিরুপায় হয়ে আসছে চিকিৎসা নিতে তবুও করোনার আতঙ্ক যেন ছাড়ছে না তাদের পিছু। একই অবস্থা জেলার সাত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে গুলোতে।

সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের নার্সিং সুপার ভাইজার শেফালি সরকার ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়ার স্টাফ নার্সও মৌসিনা খাতুন জানান,সরকারী ভাবে কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা না থাকলেও করোনার আতঙ্ক ঠেকাতে নিজস্ব সুরক্ষা নিয়ে কর্তব্য পালন করে হচ্ছো তাদের ।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎক সৌদ-বিন খায়রুল আনাম জানান,হাসাপাতালে আসা বিভিন্ন রোগীর হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনাভাইরাস সমক্রমিত হতে পারে এ ভয় ও আতঙ্কে হাসপাতালে রোগী কম আসার অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে,তালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাজিব সরদার জানান, চিকিৎসক ও নার্সদের পার্সোনাল প্রটেক্ট ইকুইপমেন্ট (পিপিই) ৫০ পিচ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে খুবই কম। দ্রুত তিনি পিপিই সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা:জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, করোনার আতঙ্কে হাসপাতালে না এসে অনেকেই মোবাইলে ফোনে নিচ্ছেন সাধারণ চিকিৎসা। এর ফলে হাসপাতালে শুধু রোগীর সংখ্যায় কমছে না ভর্তি হওয়া রোগীও ছুটি নিয়ে চলে যাচ্ছে বলে জানালেন সদর হাসপাতালের এই আবাসিক চিকিৎসক।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেজ হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, নির্ভয়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়ার জন্য কিছু সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্সদের পার্সোনাল প্রটেক্ট ইকুইপমেন্ট (পিপিই) দেওয়া হয়েছে আর বাকিদে অচিরেই দেওয়া হবে।
তবে,করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় যাদের ভুমিকা অপরীসিম তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কতৃপক্ষের অধিক নজর দেওয়ার প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক