মণিরামপুরে মাদরাসার কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সমাবেশ ও মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২০ | আপডেট: ৯:০৩:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২০

সম্প্রতি যশোরের মনিরামপুর উপজেলার মশ্মিম নগর দাখিল মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মানববন্ধন ও মিথ্যা মামলা করার প্রতিবাদে রবিবার দুপুরে মাদ্রাসা চত্বরে এলাকাবাসী, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি সমন্বয়ে বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানা যায়, গত দুই মাস পূর্বে সরকারি নীতিমালা মেনে মশ্মিমনগর দাখিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেন। নিয়োগ বোর্ডে রবিউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ফলাফল ভালো করতে পারেনি। তারপরও সে তার সুবিধা আছে যার জন্য মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিয়োগ বোর্ডের ফলাফলে নিজে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বলে প্রচার করছে। অথচ বোর্ডের কর্মকর্তারা নিয়োগ বোডের ফলাফলে প্রথম স্থান অধিকারী কে নিয়োগ দিয়েছে। ওই রবিউল ইসলাম মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মাদ্রাসা সহ মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের মান ক্ষুন্ন করার জন্য সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার খাঁন কাবিল এর নিয়োগ বোর্ড কারচুপি অভিযোগ তুলে গত ৬ ডিসেম্বর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। ঐ সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এরপর আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।

ওই ষড়যন্ত্রমূলক মানববন্ধন ও মনগড়া সংবাদের এবং মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে গতকাল রবিবার মাদ্রাসার মাঠে স্থানীয় শত শত নারী-পুরুষ শিক্ষকবৃন্দ ও ম্যানেজিং কমিটি এক প্রতিবাদী সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে।

দেখা গেছে গত ৬ তারিখের ওই মানববন্ধনে এমন লোককে হাজির করেছে যারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। বিভিন্ন বিভ্রান্তিমূলক কথা বলে তাদেরকে হাজির করেছে। আবার পত্রিকার সংবাদে এমন লোকের নাম দিয়েছে যারা মানববন্ধনে ছিলেন না বা কোন কিছু জানেন না। এমন এক ব্যক্তি লেন ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড আ,লীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী।

তিনি প্রতিবাদ করে বলেন, আমি তাদের কোনো মানববন্ধনে যায়নি বা হাসির হয়নি অথবা কোন কিছু জানিনা। তার পরও ষড়যন্ত্র করে পত্রিকায় আমার নাম দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছি। যারা আমার নাম পত্রিকায় লিখেছে তাদেরকে অবিলম্বে এ বিষয়ে একটি সঠিক প্রতিবাদ দেওয়ার জন্য বলছি। নইলে আমার নাম যারা পত্রিকায় দিয়েছে, আমি তাদের বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য থাকিব। একইভাবে রবিবার দুপুরে প্রতিবাদ সমাবেশে ও মানববন্ধনে হাজিরা হয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন, মশ্মিমনগর গ্রামের হাসান সরদারের স্ত্রী নুরজাহান, আবু মুসার স্ত্রী শিরিন সুলতানা, নিরাপদ বিশ্বাসের স্ত্রী সীতা রানী, মহাদেব বিশ্বাসের স্ত্রী চিন্তা রানী, মৃত দীন আলীর ছেলে মুক্তার আলী, রুস্তম আলী খানের ছেলে বাবুল খান, বাবুরামের ছেলে অলক বিশ্বাস, সিরাজুল ইসলাম। তাদের দাবী গত ৬ তারিখের মানববন্ধনে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে এনেছে। যা মানববন্ধন বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত নয়। যার কারণে আমরা ৬ তারিখের প্রতিবাদ সমাবেশে এসে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা আমাদের ডেকে এনে যে চক্রান্তের বেড়াজালে ফেলেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রতি দাবি জানিয়েছে তারা।

এরমধ্যে মুক্তার নামে এক ব্যক্তি জানান, আমি কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিছু লোক আমাকে বিভিন্ন ভাবে বুঝিয়ে টিভি চ্যানেলের সামনে কথা বলতে বলেছে। কথা বলার পরে জানতে পারলাম সেটা আমার ভুল হয়েছে। যার কারণে আমি রবিবারের প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন তার প্রতিবাদ করছি।

এ বিষয় মাদ্রাসার সভাপতি শাহরিয়ার খাঁন কাবিল ও সুপার মাওলানা নজরুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ বোর্ডের কোন দুর্নীতি হয়নি সম্পূর্ণভাবে সরকারি নিয়োগ বিধি মেনে ডিজি প্রতিনিধির মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে। তারপরও গ্রামের এক শ্রেণীর কুচক্রী মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মাদ্রাসার মান ক্ষুন্ন করার তাগিদে মিথ্যা অভিযোগ তুলে গত ৬ তারিখে মানববন্ধন করেছে। যা ৭ তারিখে পত্রিকায় এসেছে।

ঐ পত্রিকা এমন ব্যক্তির নাম দিয়েছে যারা মানববন্ধনে হাজির ছিল না। বিভিন্নভাবে মিথ‍্যা প্রলোভন দেখিয়ে অনেক ব্যক্তিদের মানববন্ধনে এনেছিল। এরপর ওই চক্রটি আদালতে একটি মিথ‍্যা মামলা দায়ের করেছে।

ওই মিথ্যা মানববন্ধন ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলার আজ প্রমাণ দিচ্ছে, শত শত লোক হাজির হওয়া এই প্রতিবাদ সমাবেশে ও মানববন্ধনের মাধ্যমে। তাদের দাবী অবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা হোক নইলে আমরাও মিথ্যা মামলা বাজ কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।


আপনার মতামত লিখুন :

উত্তম চক্রবর্তী। প্রতিবেদক। মণিরামপুর, যশোর