করোনাকালীন সাতক্ষীরায় বাল্য বিয়ের মহামারি, ২২ মাসে ৩০৯ নারী-শিশুকে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২২ | আপডেট: ৪:১৬:অপরাহ্ণ, মার্চ ১, ২০২২

শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

মঙ্গলবার (১ র্মাচ) দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বেসরকারি সংগঠণ অগ্রগতি সংস্থা এবং আইন ও সালিশ কেন্দ এর যৌথভাবে আয়োজন উক্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

 

অগ্রগতি সংস্থার নির্বাহী পরিচাল আব্দুর সবুরের সভাপতিত্বে মানববন্ধরে বক্তব্য রাখেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শিশু অধিকার ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী অম্বিকা রায়।

 

বক্তরা বলেন, জেলায় ২২ মাসে ৩০৯ জন নারী ও শিশু ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১১৩ জন ও ২০২১ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৯৬ জন। করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন বয়সী নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের যেসব ঘটনা ঘটেছে তা বিগত কয়েক বছরের তুলনায় অনেক বেশি । বয়স্ক নারীর থেকে কন্যা শিশুদের ধর্ষণের ঘটনা বেশি ঘটেছে।

 

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শিশু অধিকার ইউনিটের প্রধান সমন্বয়কারী অম্বিকা রায় আরও বলেন, করোনাকালে সাতক্ষীরায় বাল্য বিবাহ মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাল্য বিবাহের ফলে শিশুরা অনিচ্ছায় যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। যেসব মেয়েদের অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদের বেশীরভাগই বিয়ের জন্য প্রস্তুত ছিল না। তাদের বিয়েতে বাধ্য করা হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠাণে এখন উপস্থিতির হার অনেকাংশে কমে গেছে। সাতক্ষীরায় করোনাকালীন বাল্য বিবাহের হার বালিকা বিদ্যালয় গুলোতে ১২ দশমিক ৪০ ভাগ, মাদরাসা গুলোতে ১৩ দশমিক ২৯ ভাগ এবং যৌথ বিদ্যালয় গুলোতে ৯ দশমিক ৬৭ ভাগ। বাল্য বিবাহের হার আশংকাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় শিশুদের যৌন নির্যাতনসহ পারিবারিক নির্যাতনের হারও অনেকাংশে বেড়েছে।

 

তিনি দাবি জানিয়ে বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মকে শান্তিময় ও নিরাপদ পৃথিবী দিয়ে যাওয়ার জন্য বাল্য বিবাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে রাষ্ট্র তথা স্থানীয় সরকার, প্রশাসনসহ সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসার দাবি জানাচ্ছি। শুধু প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলেই এটি বন্ধ করা সম্ভব নয় সামাজিকভাবে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। শিশু যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী সুজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, অগ্রগতি সংস্থার পরিচালক আব্দুস সবুর  প্রমূখ।

 

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স