পাটকেলঘাটায় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান ঘর মেরামতে বাঁধা: দ্বারে দ্বারে ঘুরছে ভিক্ষুক

সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটায় অসহায় এক ভিক্ষুকের ক্ষতিগ্রস্ত দোকান ঘর নির্মান করতে গিয়ে প্রশাসনের বাধার সম্মুখীন হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার(১৫জুলাই) সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, থানার পুটিয়াখালী গ্রামের ভিক্ষুক মুনছুর আলী বেশ কয়েকবছর ধরে পাটকেলঘাটার ইকোপার্কে কাঁচামালের দোকান পরিচালনা করে আসছিল।
গত ৪বছর পূর্বে তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও ইউএনও ফরিদ হোসেন ভিক্ষুক পূর্নবাসনের জন্য আস্থায়ী ভিত্তিতে দোকান নির্মান করে দেন। পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে তার দোকান ঘরটি ব্যাপক পরিমানে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আজ বুধবার(১৫ জুলাই) সকালে সেই ভাঙা দোকান ঘরটি মেরামত করতে গেলে উপজেলা ভুমি অফিসের পক্ষ থেকে বাধা প্রদান করা হয়। বাধ্য হয়ে ভিক্ষুক মুনছুর আলী এখন বিভিন্ন লোকজনের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
মুনছুর আলী জানান, বর্তমানে আমি নি:স্ব প্রায়। ভিক্ষাবৃত্তি আমার এখন একমাত্র আয়ের উৎস। প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আমার দিকে একটু সু-দৃষ্টি দিলেই আমি ব্যবসা করে খেতে পারতাম।
বিষয়টা নিয়ে সরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো: মতিয়ার রহমানের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি জেলা প্রশাসক ও তালা ভুমি কমিশনারকে মৌখিকভাবে আবহিত করেছি।
তিনি আরও জানান, সরকার ভিক্ষুক মুক্ত দেশ গড়তে মুনছুর আলীর মত ভিক্ষুকদের কপোতাক্ষ নীলিমা ইকোপার্কে ভিক্ষুক পূর্নবাসন বাজারের ব্যবস্থা করেছিল। কিন্তু বর্তমানে সে দোকান নির্মান করতে না পারায় অহসায় হয়ে মানবেতার জীবন যাপন করছে। এখন তার পূর্নবাসন করা অতি জরুরি।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা সহকারি কমিশনার((ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আজ সকালে মুনছুর সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ঘর নির্মান করছিল। এজন্য তাকে বাঁধা দেওয়া হয়েছে। তাদের যদি ঘরের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমার কাছে লিখিত আবেদন করুক আমি ব্যবস্থা করে দিব।