সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি সাময়িক বরখাস্ত

প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২২ | আপডেট: ২:৩৯:অপরাহ্ণ, জুন ১৬, ২০২২
সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি।

সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি বিরুদ্ধে একক ক্ষমতাবলে পানির বিল মওকুফ, হাট-বাজারের ইজারা বকেয়া, পৌরকর মওকুফের কোটি টাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ‘অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে’ দোষী সাব্যস্ত করে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

একই সঙ্গে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ জুন) স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন, মেয়র মো. তাজকিন আহমেদ চিশতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এবং দুদককে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ ঘোষণা জানানো হয়।

বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র মো. তাজকিন আহমেদ চিশতির বিরুদ্ধে বিদ্যমান বিধিবিধান যথাযথভাবে অনুসরণ না করে ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ৫৮ লাখ ১৯ হাজার ৭০১ টাকা পানির বিল মওকুফসহ বিল যথাযথভাবে আদায় না করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়র এককভাবে মওকুফ করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

১৪২৩-১৪২৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত ৬ বছরে পৌরসভার হাট-বাজার ইজারা বাবদ ৬৬ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫১ টাকা বকেয়া রয়েছে। এছাড়া ভ্যাট, আয়কর বাবদ ৩৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ টাকা আদায় ও সরকারি খাতে জমা করা হয়নি এবং উক্ত সময়ের ইজারা লব্ধ অর্থ হাট-বাজার ইজারা নীতিমালা-২০১১ অনুযায়ী বণ্টন না করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

বিদ্যমান বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ না করে ২০১৬ সালের মার্চ থেকে তদন্তকালীন পর্যন্ত মোট এক কোটি ২৬ লাখ ২২ হাজার ৯৪৩ টাকার পৌরকর মওকুফ করা হয়েছে। ওই পৌরকর যথাযথভাবে আদায় না করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়র কর্তৃক এককভাবে মওকুফ করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

বিদ্যমান নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে অনুসরণ না করে ২০১৬ সালের মার্চ থেকে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৭২৬ টাকা ট্রেড লাইসেন্স ফি মওকুফ করা হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স ফি যথাযথভাবে আদায় না করে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেয়র এককভাবে মওকুফ করার অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

তাই সাতক্ষীরা পৌরসভার মেয়র তাজকিন আহমেদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের মধ্যে উল্লিখিত অভিযোগসমূহ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ এর উপ-ধারা (১)(ঘ) মোতাবেক অসদাচরণ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে একই আইনের ধারা ৩১(১) অনুযায়ী মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে অফিশিয়াল কোনো চিঠি এখনো হাতে পাইনি।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স