জরুরী বিভাগ চালুর দাবিতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন ডাক্তারদের বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০ | আপডেট: ৫:৪৭:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০

সাতক্ষীরা সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন ইন্টার্ন ডাক্তাররা। তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্য সকল ডাক্তারকে প্রায় ৩ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এসময় তারা হাসপাতালের কম্পিউটার সহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এবিষয়ে ইন্টার্ন ডাক্তারদের পক্ষে মোঃ আমিনুর রহমান জানান, ২০১৪-১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হাসপাতালে এতদিনেও জরুরি বিভাগ চালু করা হয়নি। যার ফলে ইন্টার্ন শেষ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা হাতেকলমে অনেক কিছু শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এছাড়া সাতক্ষীরার ২২ লক্ষ মানুষ জরুরি চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই দাবি নিয়ে তারা বারবার দেনদরবার করেও কোন ফল পাননি।

হাসপাতালের ইন্টানী চিকিৎসকরা উল্টো অভিযোগ করে বলেন, জরুরী বিভাগ চালুর দাবিতে ইন্টানী চিকিৎসকরা সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে ঢুকে তাদের কে হাসপাতালের কর্মচারী দ্বার লাঞ্চিত করার।

তারা আরও জানান, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলেও গত পাঁচ বছরের মধ্যে জরুরী বিভাগ চালু করা হয়নি। জরুরী বিভাগ চালু না থাকায় আমাদের খাতা কলমে শিক্ষাগ্রহন করতে হচ্ছে। প্রাকটিকালে হাতে কলমে শিখতে পারছি না। এখানকার দায়িত্বে থাকা চিকিৎসকরা ক্লিনিক ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে জরুরী বিভাগ চালু করছে না। আমরা চাই জরুরী বিভাগ চালু করা হোক।

এদিকে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি জরুরি বিভাগ চালুর ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বারবার লেখালেখি করছেন। কিন্তু ডাক্তার ও অন্যান্য জনবল সংকট থাকার কারনে জরুরি বিভাগ চালু করা যাচ্ছে না।

খবর পেয়ে সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামান ও পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌছে ইন্টার্ন ডাক্তারদের শান্ত করেন। পরে আলাপ আলোচনার মধ্য দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক এবং ইন্টার্ন ডাক্তারদের প্রতিনিধির সমন্বয়ে এক সভা আহবান করা হয়েছে।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স