কলেজছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে তালায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশিত: ৯:০০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৯ | আপডেট: ৯:০০:অপরাহ্ণ, জুলাই ২৪, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিনিধি, তালা:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার শুভাষিনী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান হোসেন বাপ্পী এবং তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সালের বিরুদ্ধে এক কলেজছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করেছেন। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন বাপ্পীকে সাময়িক বহিষ্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার(২৪ জুলাই) সকালে এ ঘটনায় শুভাষিনী কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা ‘ইভটিজিং মুক্ত কলেজ ক্যাম্পাস চাই, কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি বাপ্পীর বহিষ্কার চাই, ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সালের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই’- এ ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেন বাপ্পীকে সাময়িক বহিষ্কার ঘোষণা করেছে। সেই সঙ্গে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কলেজের গভার্নিং বডির মিটিং করে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে তারপর ক্যাম্পাস শান্ত হয়।
কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন- প্রথম বর্ষের ছাত্র মনিরুল ইসলাম, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হাদিউজ্জামান, মাসুম হোসেন, ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন, ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মাসুদ রানা পিয়াস। এ সময় শিক্ষদের পক্ষে প্রভাষক কামরুল ইসলাম, সহকারী প্রভাষক প্রণব কুমার সাহা প্রমুখ। বক্তারা বলেন- ইমরান হোসেন বাপ্পী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার পর থেকে একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তার অপকর্মে কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরাসহ এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, নারী কেলেঙ্কারি ও মারধরের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। বাপ্পীর অপকর্মে অতীতে কয়েকবার সালিশ হয়েছে এবং ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে গেছে। কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ায় দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ সাদী জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে দ্রুত তদন্ত করা হবে এবং তদন্তে বাপ্পী এবং ফয়সাল দোষী হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুভাষিনী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. কামরুল ইসলাম সেলিম জানান, শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। বাপ্পী অতীতে এর থেকেও মারাত্মক অপকর্ম করেছে যা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও কলেজ সভাপতির উপস্থিতিতে সালিশের মাধ্যমে ক্ষমা চেয়ে নেয়। কিন্তু তার পরেও সে শুধরায়নি বরং আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বাপ্পীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/সেলিম হায়দার/তালা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক