ইঞ্জি: শেখ মুজিবুর রহমান কে জেলা আ’লীগের সভাপতি চায় তৃণমূল

প্রকাশিত: ৮:০৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯ | আপডেট: ৮:০৯:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০১৯

ডেক্স রিপোর্ট:
১২ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) জেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল। কাউন্সিলে সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সফল সভাপতি আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসাবে দেখতে চায় তৃণমুলের কর্মি সামর্থকরা।


সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জেলার একাধিক কাউন্সিলরদের সাথে আলাপকালে জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমানকে পুনরায় সভাপতি হিসাবে দেখতে চায় তারা। প্রবীন এই রাজনীতিবিদ ১৯৬২ সালে ছাত্রলীগে যোগদানের মধ্য দিয়ে তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৬৪ সালে ইঞ্জিনিয়ার্স ইউনিভার্সাটি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসাবে কাজ শুরু করেন। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করেন। এছাড়া ১৯৬৬ হতে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তৎকালীন পাকিস্থান ইউনিভার্সাটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি(বর্তমান বুয়েট) শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগের সিনিয়র রাজনীতিবিদ শেখ মনি, সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাকসহ আরো অনেক নেতৃবৃন্দর সাথে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে নিয়োজিত হন। ১৯৬৯সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুসহ অন্য আসামিদের মুক্তির দাবিতে গড়ে তোলা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহন করেন। পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার আন্দোলনে গনঅভ্যুর্ত্থনে অংশগ্রহন করেন। ১৯৬৯ সালে সরকারী চাকুরি হওয়া সত্বেও তিনি সেখানে যোগদান না করে স্বাধীকার আন্দোলনে যোগদান করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন সাতক্ষীরা মহকুমার (বর্তমান সাতক্ষীরা জেলা) মুজিববাহীনীর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানী হানাদার বাহীনীর সাথে সস্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। সহযোদ্ধাদের শহীদ হতে দেখেছেন এবং নিজ হাতে শহীদদের দাফন সম্পন্ন করেছেন।


স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সাথে দেশ গঠনে আওয়ামীলীগের দলীয়কাজে সক্রিয়ভাবে নিয়োজিত হন। ১৯৮৯ থেকে ২০০০সাল পর্যন্ত সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য।
তিনি সাংবাদিকদের জানান ২০০১ সালে সাতক্ষীরা-১(তালা-কলারোয়া) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করে বিপুল ভোটরে ব্যবধানে জয়লাভ করেন। সাবেক এমপি প্রবীন জেলা আওয়ামীলীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত থেকে জেলা আওয়ামীলীগকে প্রায় ১৫ বছর নেতৃত্ব দিয়েছেন। জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। তিনি সাংসদ থাকাকালে কপোতাক্ষ নদ খনন সহ তালা কলারোয়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে বলে জানান।

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/মো: মুজিবর রহমান/পাটকেলঘাটা/সাতক্ষীরা



আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক