পাটকেলঘাটায় দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষক প্রকাশিত: ৬:৪২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ | আপডেট: ৬:৪২:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২১ মাদ্রাসা ছাত্রীকে ফুসলিয়ে বিয়ে করা ও অনৈতিক কর্মকন্ডের অভিযোগে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলামের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং বাল্যবিয়ের ঘটনায় স্থায়ী বহিষ্কারের দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার সকাল ১০ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার গড়েরডাঙ্গা এলাকায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী অবিভাবকসহ শতাধিক গ্রামাবাসী এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। মামনবন্ধন সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ইমাদুল মোল্লা,আব্দুল্লা বিশ্বাস রুফকুল মোড়ল, রহমত আলী, আনারুল মোল্লা, আলি জামান মোড়ল প্রমুখ। এসময় তার স্ত্রী তামান্না খাতুনও মানববন্ধনে অংশ নেন। অভিযোগ উঠেছে,তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের মানিকহার দ্বিমুখী দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম(৪০) গত ২১ নভেম্বর একই মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী শান্তা খাতুনকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষককের এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডে এলাকার সচেতন মহল বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে। একপর্যায় পরিচালনা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ঘটনার পর ওই শিক্ষককে চাকরী থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে। এদিকে ওই শিক্ষকের স্ত্রী তামান্না বেগম স্বামীর এহেন অনৈতিক কর্মকান্ডে এর আগে স্বামী মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইসলামকে ফিরাতে ব্যর্থ হয়ে গ্রাম্যমোড়ল মাতব্বরদের কাছে ধর্না দেয়। খায়রুল ইসলাম গত ১০ বছর আগে গড়েরডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল ওহাব মোড়লের মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধি তামান্না খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর তামান্নার পিতা ওহাব মোড়ল মেয়ের সুখের জন্য জামাই মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুল ইমলামকে বিভিন্ন সময়ে ২০ থেকে ৩০ লাখ টাকার যৌতুক দিয়ে স্বাবলম্বি করার চেষ্টা করে। দাম্পত্য জীবনে স্ত্রীর গর্ভের সন্তান আসলে দুই দফায় স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে সেই গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করে ওই শিক্ষক খায়রুল ইসলাম। এদিকে ঘরে স্ত্রী থাকা সমত্বেও মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্কের সুত্র ধরে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্ত্রীসহ গ্রামের লোকজন বিক্ষুব্দ হয়ে ওঠে ওই লম্পট শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এদিকে যৌতুকের দাবী করায় খায়রুল ইসলামে বিরুদ্ধে গত ২৫ নভেম্বর সাতক্ষীরা পারিবারিক আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন স্ত্রী তামান্নার ভাই আজহারুল ইসলাম। সম্প্রতি মাদ্রাসা ছাত্রীকে নিয়ে শিক্ষককের এহেন অনৈতিক ঘটার বিচার ও তাকে গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে এলাকার সাধারন মানুষ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,শিক্ষা অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখত অভিযোগ করে প্রতিকার দাবী করেছেন। ওই মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে নিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। সে ধানদিয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের মৃত মোসলেম সানার ছেলে। এসজি/ডেক্স সংবাদটি পড়া হয়েছে ১০১৯ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন সড়ক দূর্ঘটনায় পাটকেলঘাটার দুই এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু পাটকেলঘাটায় ধানবোঝাই পিকআপ উল্টে দুই শ্রমিক নিহত, আহত ১৫