তালায় কাজুবাদাম চাষে সমৃদ্ধির হাতছানি প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২১ | আপডেট: ৫:২৮:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০২১ বিদেশী ফসল হিসেবে কাজুবাদাম এদেশে চাষ করা সম্ভব না হলেও এবার কিন্তু অসম্ভব কে আড়াল করে সম্ভবনার দুয়ার উন্মোচন করে অনান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন সাতক্ষীরা তালার কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম। কাজুবাদাম দামে চড়া থাকলেও এটি চাষে লাভও বেশি। দেশে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাজু বাদাম বিক্রি হয় ৮শত থেকে ১ হাজার টাকায়। কাজু বাদাম সাধারণত খাগড়াছড়ির , নারানখাইয়া, পানখাইয়াপাড়া, কমলছড়ি জামতলী ,ও পার্বত্য চট্টগ্রামে এলাকায় কিছু টা চোখে পড়ে। এসব এলাকায় কাজুবাদাম চাষ সম্প্রসারণের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট। কিন্তু এবার সকল অসম্ভবনার অবসান ঘটিয়ে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল তালা উপজেলায় চাষ হচ্ছে কাজুবাদাম,কৃষি প্রেমী মোঃ রফিকুল ইসলাম তার মিষ্টি পানির মৎস্য ঘেরের বেড়ীবাঁধের উপর রোপন করে ফেলেন পাঁচটি কাজুবাদাম গাছ।শুধু চাষ করেই নয় ফলন ধরেছে দুই বছর। কাজুবাদাম প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে শুরু করেছেন এই কৃষক। শুধু বীজ থেকে নয় কলম পদ্ধতিতে দ্রুত বংশবিস্তারের বিকাশ ঘটিয়েছেন। বিশেষ করে পাহাড়ি অঞ্চল কে হটিয়ে সাতক্ষীরা তালা উপজেলায় ব্যাপকভাবে কাজুবাদাম চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন এই কৃষক। মোঃ রফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার শিবপুর গ্রামের মরহুম কেরামত আলী খাঁ এর ছেলে। রফিকুল ইসলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত সাবেক সেনা সদস্য।তিনি এখন বিভিন্ন ফলজের নতুন কিছুর উৎভবনের চেষ্টায় অব্যহত আছেন। মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান তিনি পাঁচ বছর আগে এই কাজুবাদামের চাষ করেছেন। গত বছর ও এ বছর গাছে কাজুবাদাম ধরেছে। কাজু বাদামের বীজ গুলো চারা দেওয়ার জন্য রেখেছেন। বাড়িতে বীজ রোপন করে নতুন চারা ও গজিয়েছে। তাছাড়া গাছে কলম পদ্ধতিতে গাছের বংশবিস্তারের চেষ্টা করছেন বলে তিনি জানান। সংবাদকর্মীদের সাথে একান্ত সাক্ষাতে তিনি বলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজুবাদাম চাষের প্রতি গবেষণা ও পিএইসডি অধ্যায়নরত কৃষিবিদ জাকিয়া সুলতানা কে দেখে এই কাজুবাদাম চাষের প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়েছি।এই কাজুবাদাম চাষের জন্য তার কাছ থেকে কিছু বীজ এনে বাড়িতে চারা উৎপাদন করেন। মোঃ রফিকুল ইসলাম আরো জানান শারীরিক উপকারিতার দিক থেকে কাজুবাদামের কোন বিকল্প নেই। এতে উপস্থিত প্রোটিন, এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ এবং ভিটামিন নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। তাই তিনি মানবসেবা কে পরম সেবা হিসাবে মনে করে এই কাজুবাদামের চাষ করতে আগ্রহী হয়েছেন। তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরুল জানান, তার জানা মতে কাজুবাদাম একটি বিদেশী ফল। বাংলাদেশে পাহাড়ী অঞ্চলে কিছু চাষ হয়ে থাকেন বলে তিনি জানান। তবে দেশের উপকূলীয় এলাকা সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলা সদরে এমন একটি বৈদেশিক ফলের উৎভব এই প্রথম দেখলেন। কাজুবাদাম চাষে পরিক্ষা মূলক সফলতা এসেছে তালা উপজেলায়।তালা কৃষি অফিস ও জেলা কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরার সফলতার ছোঁয়া লেগেছে এখানে। কাজুবাদাম চাষের তালা উপজেলা সহ সাতক্ষীরা জেলার কৃষি বিভাগ সমৃদ্ধি হবে।এটা তালা উপজেলার একটি গর্ব সাতক্ষীরা জেলা সহ দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করেন। তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, কাজুবাদাম একটি বিদেশী ফল দেশে পাহাড়ী অঞ্চলে এই ফলের চাষ হয়ে থাকে । তালা উপজেলায় কাজুবাদামের চাষ হয়েছে অফিসের পক্ষ থেকে প্রদর্শনী প্লট করেছেন।গত বছর থেকে গাছে কাজুবাদাম ধরেছে। সাতক্ষীরা তথা তালা উপজেলায় কাজুবাদাম চাষের বিস্তার ঘটার সমূহ সম্ভাবনা দেখছেন তালা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ নুরুল ইসলাম জানান, কাজুবাদাম সাধারণ পাহাড়ী অঞ্চলে চাষ হয় । সাতক্ষীরা জেলায় তেমন চাষের সম্ভাবনা দেখছেন না।তবে তালা উপজেলা তিনি দেখেছেন মৎস্য ঘেরের বেড়ীবাঁধের উপর কাজুবাদাম চাষ। সাতক্ষীরা জেলায় এই প্রথম চাষ বলে তিনি মনে করেন।তালা উপজেলা সাতক্ষীরা জেলা সমূহে ব্যাপকভাবে কাজু বাদাম চাষের উজ্জ্বল সম্ভাবনা বলে তিনি মনে করেন। সংবাদটি পড়া হয়েছে ২৩৪ বার আপনার মতামত লিখুন : আরও পড়ুন তালায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী মোস্তফা বিশ্বাসের মৃত্যুদন্ড তালায় একইদিনে ৪জনের বাল্যবিবাহের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ